ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত রাখার দাবি আলেমদের

প্রকাশ | ৩০ আগস্ট ২০২১, ১৬:৫৩ | আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২১, ১৬:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

‘অনুমতি ছাড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়’ সংসদীয় কমিটির এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান এবং শীর্ষ আলেমরা।

সোমবার আল-হাইআতুল উলয়ার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভায় সরকারের প্রতি মসজিদ, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত ও অবারিত রাখার আহ্বান জানানো হয়।
কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ আল-হাইআতুল উলয়ার নেতারা বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উত্থাপিত প্রস্তাবটি নতুন মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পথ চরমভাবে সংকুচিত করবে। এতে পবিত্র ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রস্তাবটি মুসলিমসহ সব ধর্মানুসারীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, যা রাষ্ট্রীয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটাতে পারে।
আল-হাইআতুল উলয়ার নেতারা মনে করেন, প্রস্তাবটি কুরআন, হাদিস, দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতি এবং ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ আইন, ২০১৮’ (২০১৮ সনের ৪৮ নং আইন) এর পরিপন্থী।
তারা বলেন, কওমি মাদরাসাগুলো বন্ধ থাকার কারণে বহু এতিম-গরিব ছাত্র অনাহারে কষ্ট পাচ্ছে। বহু ছাত্র ঝড়ে যাচ্ছে। হেফজখানা ও মক্তবের ছাত্রদের কুরআন তেলাওয়াত, শেষরাতের রোনাজারি, জিকির ও দোয়া সব বন্ধ। সভায় সরকারের কাছে কওমি মাদ্রাসা অতি দ্রুত খুলে দিয়ে ছাত্রদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর অনুরোধ জানানো হয়।
সভায় গ্রেপ্তারকৃত আলেম-উলামা ও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের অবিলম্বে মুক্তিদানেরও জোর দাবি জানানো হয়। সাথে সাথে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদেরকে কোভিড-১৯ এর টিকার আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আব্দুল হামীদ (পীর সাহেব, মধুপুর) মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, মাওলানা জিয়াউদ্দীনের প্রতিনিধি মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা সুলতান যওকের প্রতিনিধি মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, মাওলানা আব্দুল হালীম বুখারীর প্রতিনিধি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজাহ, মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদের প্রতিনিধি মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুছলেহুদ্দীন গহরপুরী, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা মুশতাক আহমদ, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা মুফতি নূরুল আমীন, মাওলানা মুফতি জসিমুদ্দীন, মাওলানা শামসুল হক, মাওলানা ইউনুস, আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস সম্পাদক মাওলানা মু. অছিউর রহমান।
(ঢাকাটাইমস/৩০আগস্ট/জেবি)