কয়েকদিন ধরে তেঁতুলিয়া-বাংলাবান্ধা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কয়েকদিন ধরে স্থলবন্দর সংলগ্ন বাংলাবান্ধা-তেঁতুলিয়া জাতীয় মহাসড়কের পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট লেগে আছে। এই স্থলবন্দর দিয়ে নেপালের রপ্তানিযোগ্য কয়েকশ পণ্যবাহী ট্রাক আটকে আছে। সংকট নিরসনে মঙ্গলবার স্থলবন্দর হলরুমে আমদানি-রপ্তানিবিষয়ক সমন্বয় সভা করেছে জেলা প্রশাসন।

স্থলবন্দর ও সমন্বয় সভা সূত্রে জানা যায়, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ফুলবাড়ি হয়ে নেপালে রপ্তানিযোগ্য দুইশোরও বেশি পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। এতে বাংলাবান্ধা-তেঁতুলিয়া জাতীয় মহাসড়কে পাঁচ কিলোমিটারের বেশি এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভেঙে পড়েছে ট্রাফিকব্যবস্থা। যানজটের ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীসহ স্থানীয়রা। সংকট নিরসন এবং মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে স্থলবন্দর সংলগ্ন সড়কে ব্যাটালিয়ন আনসার অথবা অঙ্গীভূত আনসার নিয়োগ দান, স্থলবন্দরের পাশে ট্রাক পার্কিংয়ের জন্য জায়গা ভাড়া নেওয়া, সড়কের পাশের বালু ভরাটের জন্য সভায় প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া কাস্টমস কর্তৃক আংশিক চালানের ছাড়পত্র প্রদান এবং আমদানি-রপ্তানি সময় বৃদ্ধি করে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নির্ধারণ করলে যানজট সমস্যা সমাধান হবে বলে জানানো হয়।

এদিকে স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে স্থলবন্দরে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। এছাড়া ভালো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় স্থলবন্দরের ইয়ার্ডে পানি জমে থাকে। এই বন্দর সম্প্রসারণে আরও জমি অধিগ্রহণ করাও জরুরি। সড়কের যানজট নিরসনে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ট্রাফিক বক্স অথবা ফাঁড়ি স্থাপন করা দরকার। যাতে সড়কে শৃঙ্খলা থাকে এবং দ্রুত স্থলবন্দরে পণ্য খালাস করা যায়। তবেই সড়কে যানজট থাকবে না।

পঞ্চগড় সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা বলেন, বন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের আমদানি-রপ্তানি পণ্যের আংশিক চালানের ছাড়পত্র দেয়- তাহলে সড়কে ট্রাকের এমন যানজট থাকবে না।

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, স্থলবন্দরের বিভিন্ন সমস্যা এবং এসব সমস্যা থেকে বের হওয়ার করণীয় ঠিক করতেই সমন্বয় সভা আহবান করা হয়েছে। আমরা শিগগির স্থলবন্দরের পাশে অথবা সড়কের পাশে ব্যক্তি মালাকানাধীন কোন জায়গা ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা করছি। সেখানে ট্রাক পার্কিং করা গেলে যানজট থাকবে না। এছাড়া স্থলবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে জমি অধিগ্রহণের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন। আশা করি, দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩১আগস্ট/এলএ)