চলে গেলেন কথাসাহিত্যিক বশীর আলহেলাল

প্রকাশ | ৩১ আগস্ট ২০২১, ১৯:৫১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, গবেষক, বাংলা একাডেমির ফেলো ও সাবেক পরিচালক বশীর আলহেলাল ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।

মঙ্গলবার বেলা পৌনে দুইটায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নিজ বাসায় তার মৃত্যু হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
বশীর আলহেলালের মরদেহ বিকাল ৫টায় শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আনা হয় এবং এখানে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।পরে রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
বশীর আলহেলাল ১৯৩৬ সালের ৬ জানুয়ারি ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে তালিবপুর, জলপাইগুড়ি, রাজশাহী এবং কলকাতাতে শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পেশাজীবনে কিছুকাল কলকাতায় সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন। ১৯৬৭ সালের ৯ জুলাই তিনি বাংলা একাডেমির অনুবাদ বিভাগে সহ-অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন।  একাডেমির বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন শেষে ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগ থেকে ১৯৯৪ সালে ৪ জানুয়ারি পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
তিনি একাধারে কথাসাহিত্যিক, শিশুসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক-গবেষক ও অনুবাদক। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- কালো ইলিশ, আনারসের হাসি, কান্ডারি, কিশোর বাংলা উচ্চারণ মঞ্জরি, বাংলা ভাষার নানান বিবেচনা, বাংলা গদ্য, আমাদের কবিতা, ভাষা আন্দোলনের সেই মোহনায়, প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ, বেলগ্রেডের ডাক, তাঁদের সৃষ্টির পথ, আমাদের বিদ্বৎসমাজ, ঘৃতকুমারী, জীবনের সুখ, শেষ পানপাত্র, নূরজাহানদের মধুমাস, শিশিরের দেশে অভিযান।
এছাড়াও তিনি ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং বাংলা একাডেমির ইতিহাস গ্রন্থের লেখক। এছাড়াও মূল উর্দু থেকে অনুবাদ করেছেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা সম্পর্কে হামুদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট।
সাহিত্যে অবদানের জন্য বশীর আলহেলাল আলাওল সাহিত্য পুরস্কার এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
(ঢাকাটাইমস/৩১আগস্ট/জেবি)