মিনুর মৃত্যুর ঘটনা ‘সিরিয়াসলি’ তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:৪৩ | প্রকাশিত : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:২১

একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির পরিবর্তে প্রায় তিন বছর কারাভোগ করা নিরপরাধ মিনুর মৃত্যুর ঘটনা ‘সিরিয়াসলি’ তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম ও কোতোয়ালি থানার পুলিশের এসআই জুবায়ের মৃধার প্রতি এই নির্দেশ দেন আদালত।

এই দুই তদন্ত কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, ‘কেন সে (মিনু) রাত ৩টায় বাসা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে গেল? তাকে প্রক্সি দিয়ে জেল খাটানোর ঘটনায় আটকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না অথবা শুধুই আটকরা প্রক্সির ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে জড়িত কি না, নাকি অন্য কেউ আছে, এসব বিষয় সিরিয়াসলি তদন্ত করবেন। প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ইনস্ট্রাকশন নেবেন।’

পরে তাদের (দুই পুলিশ কর্মকর্তা) ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন উচ্চ আদালত। এ বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানির জন্য আগামী ২২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।

বুধবার সকালে কারামুক্ত নিরপরাধ মিনুর মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যু মামলার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও সুরতহাল প্রতিবেদনসহ মামলার নথি নিয়ে দুই তদন্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টে হাজির হন।

গত ১৬ আগস্ট মিনুর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও সুরতহাল রিপোর্ট তলব করেন হাইকোর্ট। এছাড়া মিনুকে সাজা খাটানো কুলসুমীর মামলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিসহ যাবতীয় নথিও তলব করেন আদালত। সংশ্লিষ্ট দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ১ সেপ্টেম্বর এসব নিয়ে আসতে বলা হয়। ওই দিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।

এর আগ মিনুর ‘সড়ক দুর্ঘটনায়’ মারা যাওয়ার ঘটনাটি উচ্চ আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

গত ২৮ জুন রাতে বায়েজিদ সংযোগ সড়ক থেকে দুর্ঘটনায় নিহত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় অজ্ঞাত হিসেবে মরদেহ দাফন করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম। পরবর্তী সময়ে বায়েজিদ থানার একটি টিম সীতাকুণ্ড এলাকার লোকজনকে ছবি দেখিয়ে মিনুর পরিচয় শনাক্ত করে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়।

২০০৬ সালের জুলাই মাসে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার রহমতগঞ্জের একটি বাসায় মোবাইলে কথা বলা নিয়ে গার্মেন্টসকর্মী কহিনুর আক্তারকে গলাটিপে হত্যার ঘটনা ঘটে। এরপর মরদেহটি একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। কিন্তু কহিনুর আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন অপরাধী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। এঘটনায় কোতোয়ালী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে কহিনুরকে হত্যা করা হয় বলে প্রতিবেদন দেয়। এতে আসামি করা হয় কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে।

২০১৭ সালের নভেম্বরে আদালত কহিনুর আক্তারকে হত্যা মামলায় আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। তবে সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলে মিনু ২০১৮ সালের ১২ জুন কারাগারে যান। তিন বছর পর বিনা অপরাধে সাজা ভোগ করার পর তিনি মৃত্যুর কিছু দিন আগে মুক্তি পান।

(ঢাকাটাইমস/০১সেপ্টেম্বর/এআইএম/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :