ভোরের পাতার ঝিনাইদহ প্রতিনিধির বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর
সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি এনামুল কবীর দীপুর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় সাংবাদিক এনামুল কবীরের দীপুর ছেলে সাফিকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দৈনিক ভোরের পাতার অনলাইন ও বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রিন্ট ভার্সনে ‘এমপি তাহজীবের অপকর্মের মূলহোতা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জীবন বিশ্বাস!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর দীপুর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা চালানো হয়।
প্রতক্ষ্যদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঝিনাইদহ সদরের ৩ নং পানির ট্যাংকি এলাকায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জীবন কুমার বিশ্বাসের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা দীপুর বাসায় প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসময় সন্ত্রাসী সুমনের নেতৃত্বে প্রায় ৩০ জনের একটি দল এনামুল কবীরের দীপুর ছেলে সাফিকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এতে সাফি গুরুতর জখম হন। এমনকি ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ লুটপাটও করে সন্ত্রাসীরা।
সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত সাফিকে স্থানীয় সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হামলাকারীদের মধ্যে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আককাস, আবু সুমন, টুটুল, হাসান, আকিদ, মশিউর ছিল বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানাকে জানানো হলে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি শোনার সাথে সাথেই পুলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া আছে। ভুক্তভোগী মামলা করলে অবশ্যই তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে। অপরাধী যেই হোক না কেন, তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে ভোরের পাতার ঝিনাইদহ প্রতিনিধি এনামুল কবীর দীপুর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও তার ছেলেকে আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রতন। তারা দুজনই ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপারের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন ভোরের পাতাকে বলেন, বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। তিনি খুব পেশাদার পুলিশ কর্মকর্তা। অবশ্যই বাদী থানায় গিয়ে মামলা করলে তা নেয়া হবে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/৩সেপ্টেম্বর/কেআর)