ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তিস্তা পারের মানুষ

নীলফামারীর তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার সকাল নয়টার পর থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। হঠাৎ করে আবারো পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তিস্তা পারের মানুষ।

তিস্তা বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, উজানের ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পানি বেড়েছে তিস্তা নদীতে। ফলে দশটি ইউনিয়নের প্রায় আট হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এদিকে দফায় দফায় পানি বৃদ্ধির কারণে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা। এদিকে ভাঙনের মুখে পড়া ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ভেন্ডাবাড়ির চরের দুই নম্বর স্পারটি নিয়ে টেনশনে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ডিমলা ইউনিয়নের পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, হঠাৎ করে আবারো পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা নদী বেষ্টিত এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম বলেন, পানবন্দি হয়ে পড়ায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না মানুষরা। তারা অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। পানি কমে না এলে বিপদে পড়বেন তারা।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ভেন্ডাবাড়ি চরের দুই নম্বর স্পারটির দেড়শ মিটার ভেঙে যায়। এর ফলে প্রায় দুইশ পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। আবারো পানি বেড়েছে, শঙ্কায় রয়েছে শতাধিক পরিবারের মানুষ। যদি বাঁধটি রক্ষা করা না যায় তাহলে কপাল পুড়বে এলাকার মানুষদের।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা বলেন, উজানের ঢলে পানি বেড়েছে তিস্তায়। এলাকা পর্যবেক্ষণে রেখেছি আমরা। কয়েক দফায় পানি বৃদ্ধির ফলে যেসব বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছিল, সেগুলো মেরামত করা হয়েছে। তারপরও আমরা দেখছি কোথাও সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক মোকাবিলা করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩সেপ্টেম্বর/পিএল)