গ্রাহক হয়রানি নিয়ে ঢাকাটাইমসের প্রতিবেদন

দারাজের প্রতিবাদ, প্রতিবেদকের বক্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:২৫

‘হয়রানির দায় না নিয়ে উল্টো গ্রাহকের তথ্য চায় দারাজ’ এই শিরোনামে দৈনিক ঢাকাটাইমসে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে দারাজ বাংলাদেশ। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যকে মিথ্যা দাবি করে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে ‘ফোরথট পিআর লিমিটেড’ থেকে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, এতে দারাজের সুনাম নষ্ট হয়েছে এবং সংবাদটি মুছে ফেলার অনুরোধ করা হয়।

ফোরথট পিআর লিমিটেডের মিডিয়া রিলেশনস বিভাগের ম্যানেজার বকুল রায় স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপির শুরুর দিকে ঢাকাটাইমসে প্রকাশিত সংবাদের অংশবিশেষ তুলে ধরা হয়- ‘ই-কমার্স প্লাটফর্ম দারাজ বাংলাদেশ থেকে পণ্য অর্ডার করে ভুল ও খারাপ মানের পণ্য পাওয়ার অভিযোগ এখন নিয়মিত। আর তাতে ভোক্তা যে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সে দায় নিতে নারাজ দারাজ বাংলাদেশ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উল্টো গণমাধ্যমের কাছে ভুক্তভোগীর বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইছেন দারাজ কর্তৃপক্ষ।’

দারাজের দাবি, ‘সংবাদের এই অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। দারাজ একটি স্বনামধন্য ও বিশ্বস্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্রেতার নিকট নিজেকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ক্রেতার করা প্রতিদিন লক্ষাধিক পণ্যর অর্ডার সেই বিশ্বাস এবং সুনামের অকাট্য প্রমাণ বটে। এছাড়াও মোট অর্ডারের বিপরীতে দারাজের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগের সংখ্যা মাত্র ০.২ শতাংশ যা বেশ নগণ্য। অতএব, দারাজের বিরুদ্ধে ভুল বা খারাপ মানের পণ্য যে নিয়মিত, এ উক্তিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। অভিযোগের সংখ্যাও প্রতিদিন আরও কমে আসছে।’

দারাজ বলছে, যেকোনো পণ্য নিয়ে দারাজের কাছে কিংবা ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের কাছে যদি গ্রাহক কোনো অভিযোগ করে সেই ক্ষেত্রে দারাজ সরকারের প্রকাশিত ডিজিটাল কমার্স পরিচালনার নির্দেশিকা ২০২১ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়ে ক্রেতাকে প্রতিকার দিয়ে থাকে। কিন্তু উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখিত অভিযোগের কোনো তথ্য (অর্ডার নম্বর) এখন পর্যন্ত দারাজকে সরবরাহ করা হয়নি। প্রতিবেদনে উল্লেখিত ভোক্তাগণ যদি সত্যিকার অর্থেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে পণ্যের অর্ডার নম্বরসহ দারাজের কল সেন্টারে অভিযোগ করে খুব সহজে প্রতিকার পেতে পারে।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

‘হয়রানির দায় না নিয়ে উল্টো গ্রাহকের তথ্য চায় দারাজ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি গ্রাহকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি করা হয়েছে। এখানে ঢাকাটাইমসের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই। এমনকি দারাজ তার ক্ষতিগ্রস্ত ক্রেতাদের ‘রিফান্ড’ দিচ্ছে বা পণ্য ফেরত নিচ্ছে তাও বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে টাকা ফেরত চেয়ে রিফান্ড পাওয়ার তারিখও উল্লেখ করা হয়েছে কয়েকজন গ্রাহকের।

প্রতিবেদনে পণ্য কিনে কোনো কোনো গ্রাহকের ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রান হওয়ার অভিযোগের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে প্রতিদিনই এমন অভিযোগ আসছে দারাজে। দারাজও তাদের প্রতিবাদলিপিতে স্বীকার করেছে যে তাদের ‘মোট অর্ডারের বিপরীতে অভিযোগের সংখ্যা ০.২%।’ অর্থাৎ প্রতি এক লাখ অর্ডারের বিপরীতে দারাজে অভিযোগ আসে ২০০টি। কাজেই নিয়মিত অভিযোগ আসার বিষয়টি যে মিথ্যা নয় বলার অপেক্ষা রাখে না।

মূলত পছন্দের পণ্য অর্ডার করে পরে খারাপ পণ্য পাওয়া এবং তা ফেরত কিংবা রিফান্ড পাওয়ার মাঝের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হওয়া এবং ওই গ্রাহকের প্রয়োজন পূরণ না হওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। এক গ্রাহকের প্রশ্ন, ‘আমি রিফান্ড পেলাম ঠিক আছে, কিন্তু যে কারণে পণ্যের অর্ডার করেছিলাম সেটি তো পূরণ হলো না, এই হয়রানির দায় নেবে কে?’

গ্রাহকের এমন প্রশ্ন ও অভিযোগ নিয়ে দারাজ কী ভাবছে এবং অভিযোগ শূন্যের কোঠায় নামাতে দারাজ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে- এ ব্যাপারে জানতে দারাজের জনসংযোগ বিভাগের সঙ্গে যোগোযোগ করে ঢাকাটাইমস। কিন্তু তাদের এককথা, গ্রাহকের অর্ডার নম্বর না দিলে তারা কোনো কথা বলবে না। এটিও প্রতিবেদনের একটি বড় উপাত্ত।

দারাজের প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে প্রতিবেদনে উল্লেখিত অভিযোগের কোনো তথ্য (অর্ডার নম্বর) দারাজকে সরবরাহ করা হয়নি।

কিন্তু একক কোনো গ্রাহকের প্রতিকার নয় বরং অভিযোগের ব্যাপকতা সম্পর্কে দারাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করাই ছিল লক্ষ্য। তাই প্রতিবেদনে কয়েকজন গ্রাহকের নাম, তার এলাকা এবং রিফান্ডের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সংবাদপত্রের নৈতিকতা এবং গ্রাহকের নিরাপত্তার স্বার্থে তার অর্ডার নম্বর উল্লেখ করা হয়নি। কেননা, অর্ডার নম্বরের সঙ্গে গ্রাহকের বাসার ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর যুক্ত থাকে, যা পরবর্তী সময়ে তার জন্য ভোগান্তির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া দারাজ নিয়ন্ত্রিত ওয়েবসাইট থেকে অভিযোগকারীর তথ্য মুছে ফেলার আশঙ্কা থাকে।

কাজেই ঢাকাটাইমসের প্রতিবেদনকে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর বলার সুযোগ নেই। সব অভিযোগকারীর তথ্যপ্রমাণ ঢাকাটাইমসের কাছে সংরক্ষিত আছে। দারাজ তার গ্রাহকসেবা শতভাগ ত্রুটিমুক্ত করবে বলে আমরা আশা করি।

(ঢাকাটাইমস/৪সেপ্টেম্বর/কারই/বিইউ/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

জনতা ব্যাংকের ম‌্যানেজার্স ইন্ডাকশন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে স্থানান্তরিত হলো ন্যাশনাল ব্যাংক ডিজাস্টার রিকভারি সাইট

ইসলামী ব্যাংকের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম উদ্বোধন

টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন, মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা

মিনিস্টারের শতকোটি টাকার ঈদ উপহার জিতে আনন্দিত ক্রেতারা 

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন

জনতা ব্যাংকের অফিসারদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

একঝাঁক তরুণকে নিয়ে বেসিস নির্বাচনে সোহেলের টিম স্মার্ট

হজযাত্রীদের উপহারসামগ্রী প্রদান করল ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক

বরিশালের বাবুগঞ্জের আগরপুরে এনআরবিসি ব্যাংকের উপশাখার উদ্বোধন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :