রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ নিয়ে উদ্বেগ আপিল বিভাগের
বাংলাদেশের নাগরিক না হওয়া সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আদালত।
রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ প্রশ্ন রাখেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি জন্মসনদ কীভাবে পান? তারা তো এদেশের নাগরিকই না। পরে রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বান্দরবানের ঘুমধুম ইউপির সচিব এরশাদুল হকের জামিন স্থগিত করে আদেশ দেন আদালত।
আদালত থেকে বেরিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, বান্দরবানের নাইক্ষাংছড়ি থানার ৩ নম্বর ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোহাম্মদ এরশাদুল হকের বিরুদ্ধে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, সচিব এরশাদুল হক চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করেছেন। এটা পরবর্তীকালে তদন্ত করা হয়। তদন্তে এ ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন এরশাদুল হক। জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও তিনি আত্মসমর্পণ করেননি। পরে চলতি বছরের ১ মার্চ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ৪ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে জামিন পান এরশাদুল হক। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ সেই আবেদনের শুনানি করে আপিল বিভাগ তার জামিন স্থগিত করেন।
উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, আপিল বিভাগ উদ্বেগ প্রকাশ করে এই কারণে যে, এই জন্মসনদ নিয়ে রোহিঙ্গারা তো পাসপোর্ট তৈরি করতে পারেন, জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতে পারেন। এ সুযোগে তারা দেশের বাইরে গিয়ে যদি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেন তাহলে দেশের দুর্নাম হয়। কারণ সে তো বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন। কিন্তু তারা তো আমাদের দেশের নাগরিক না। এ বিষয়টা উদ্বেগের কারণই বটে।
(ঢাকাটাইমস/৫আগস্ট/এআইএম/কেআর)