রেইনট্রিতে ধর্ষণ: সাফাতসহ পাঁচজনের যাবজ্জীবন চায় রাষ্ট্রপক্ষ

প্রকাশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:১৮ | আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২২:২৮

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চেয়ে যুক্তিতর্ক শেষ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

রবিবার ঢাকার সাত নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ।

তিনি সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন দাবি করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চান। একইসঙ্গে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন প্রদানের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সতর্কবার্তা দেওয়ার আহ্বান জানান।

বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শোনার পর আসামি নাইম আশরাফের পক্ষে তার আইনজীবী এম এ বি এম খায়রুল ইসলাম (লিটন) যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তবে তা আংশিক হওয়ার পর বিচারক আগামী ১২ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

এরআগে গত ২৯ আগস্ট আত্মপক্ষ শুনানিতে সাফাতসহ ৫ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।

মামলার অপর চার আসামি হলেন- সাফাত আহমেদের বন্ধু  সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন। বর্তমানে পাঁচ আসামিই জামিনে আছেন।

গত ২২ আগস্ট মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভুক্ত ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।

২০১৮ সালের ১৩ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

এর আগে ওই বছরের গত ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করেন।

চার্জশিটে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। অপর আসামি সাদমান সাকিফ, রহমত আলী ও বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়।

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

ঢাকাটাইমস/০৫সেপ্টেম্বর/ইএস