হিলি স্থলবন্দরে বাড়ল আমদানি-রপ্তানির সময়সীমা

দিনাজপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৩০

ভারতের অভ্যন্তরে রাস্তায় রপ্তানিমুখী পণ্যবোঝাই ট্রাকের জট সৃষ্টি হওয়ায় সেদেশের ব্যবসায়ীদের অনুরোধে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাড়ানো হয়েছে আমদানি-রপ্তানির সময়সীমা। ফলে বন্দরে বেড়েছে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশের সংখ্যা। ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে ফিরেছে কর্ম চাঞ্চল্যতা।

পুরোদমে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হওয়ায় খুশি বন্দরের আমদানিকারকরা। করোনা মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচল ছিল হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কয়েকদফা কমিয়ে প্রতিদিন আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশের সংখ্যা করা হয় ৮০/১০০ ট্রাকে। কমানো হয় সময়সীমা। এতে ভারত অভ্যন্তরে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ লাইনের কারণে সৃষ্টি হয়েছে যানজট।

পণ্য নষ্ট ও লোকসান এড়াতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়ে আমদানি-রপ্তানির সময়সীমা বাড়ানো অনুরোধ জানান ভারতের ব্যবসায়ীরা। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে বাড়ানো হয়েছে আমদানি-রপ্তানির সময়সীমা। প্রতিদিন এখন এই বন্দর দিয়ে দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে।

হিলি স্থলবন্দরের শ্রমিক আব্দুর রহিম ও শফিক বলেন, করোনার ধকল কাটিয়ে আবারও আমাদের বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বেড়েছে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বেড়েছে। এ রকম থাকলে আমাদেরও ভালো। এখন পাইকাররা বন্দরে আসছে। আমাদের বকেয়াগুলো তাদের থেকে উঠাতে পারবো।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, করোনার কারণে সরকারের নির্দেশনা মেনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আমরা হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানির সময়সীমা কমিয়েছিলাম। এতে প্রতিদিন এই বন্দরে ৮০ থেক ১০০টি ট্রাক ঢুকতো। আবার সেই ট্রাকগুলোর পণ্য খালাস করে একই দিন বিকাল ৫টায় ভারতে পাঠানো হতো।

হারুন বলেন, ‘সম্প্রতি ভারতের ব্যবসায়ীরা সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আমাদেরকে অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে আমরা আমদানি-রপ্তানির সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছি। এখন এই বন্দরে ২০০ পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকছে।’

হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমে যাওয়ায় হিলি স্থলবন্দরে আবারও আমদানি-রপ্তানি বেড়েছে।

সোহরাব বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দর অভ্যন্তরে আমরা সব ধরনের কাজ করে যাচ্ছি। যেহেতু দেশের বাজারে আমদানিকৃত পণ্যের চাহিদা রয়েছে। তাই আমদানিকৃত সব পণ্য দ্রুত ছাড় করাতে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। আমদানি-রপ্তানি বাড়লে সরকারের রাজস্ব যেমন বাড়বে তেমনি পানামা কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন আয়ও বাড়বে।

হিলি কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, গেলো সাত কর্ম দিবসে ভারত থেকে চাল, গম, ভুট্টা, পেঁয়াজ, পাথরসহ ৪০ হাজার ৬৪১ মেট্টিকটন বিভিন্ন পণ্য আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে যেখান থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ছয় কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

(ঢাকাটাইমস/৬সেপ্টেম্বর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :