দুই সন্তানকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে যা বললেন সেই বিচারক

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২৩:০০ | প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২২:৪৯

দুই সন্তানের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণের ভাইরাল ভিডিওটি ২০১৬ সালের বলে দাবি করেছেন সিনিয়র সহকারী জজ জাহিদুল ইসলাম জুয়েল। তিনি অভিযোগ করেন, নিয়াজ মাহমুদ নামে একজন আমাকে বিপাকে ফেলতে ভিডিওটি নতুন করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। আমার বড় বোন তার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তিনি আমাদের পরিবারের ওপর ক্ষুব্ধ।

সিনিয়র সহকারী জজ জাহিদুল ইসলাম জুয়েল চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।

প্রসঙ্গত, ছয় মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, বনের ভেতর দুই পুত্র সন্তানদের একটি পিস্তল দিয়ে ফায়ার করার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন পিতা জুয়েল। নদীর ধার ঘেষে বনের বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফা দুই সন্তানকে নিজে অস্ত্র চালানা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এসময় একজন সকল কর্মকাণ্ড ভিডিও করছিলেন।

এসময় দেখা যায়, পিস্তল হাতে দুই পুত্র সন্তান। পেছনে দাঁড়িয়ে বিচারক পিতা। তিনি ছেলেকে শেখাচ্ছেন ট্রিগার চাপার কৌশল। ছেলেও একের পর এক ছুড়ছেন গুলি। বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে চারপাশ। বেশ মজাও পাচ্ছিল দুই সন্তান।

এ বিষয়ে দুই সন্তানের পিতা বিচারক জাহিদুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ভিডিওটি ২০১৬ সালের দিকের। সে সময় আমি সুন্দরবনে ছিলাম। তখন বাচ্চারা শখ করে এক-দুই দিন করেছে। কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে নয়, এই ধরেন- গাছকে এইম করে গুলি করা এই আর কি। আমি ডিউটির সময়ে অনেক সময় ঘুমিয়ে গেলে আমার সহকর্মীরা পিস্তল নিয়ে ডিউটি করত, এটা কোন অপরাধ নয়। কয়রায় ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালে সুন্দরবনের বনদস্যু ও ডাকাতদের হটাতে গুলি চালাতে হতো।

তিনি বলেন, ‘এটা খুব সহজ জিনিস, কিন্তু উনি (নিয়াজ মাহবুব) পারিবারিক দেখাদেখির মানে দেখে নেব- এই মনমানসিকতা থেকে নেগেটিভভাবে উপস্থাপন করেছেন।’

পারিবারিক দ্বন্দ্ব থেকেই ভিডিওটি নিয়াজ মাহমুদ নামে একজন আমাকে বিপাকে ফেলতে ভিডিওটি নতুন করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। আমার বড় বোন তার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানন করার কারণে সে আমাদের পরিবারের উপর ক্ষুব্ধ। রাষ্ট্র, আওয়ামী লীগকে নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলেন তিনি।

শিশুদের হাতে বন্দুক তুলে দেয়া ঠিক ছিল কিনা জানতে চাইলে জুয়েল আরো বলেন, ‘তখন তো বন্ধু-বান্ধব আমরা এমনি ফায়ার করতাম। একটা গাছ টার্গেট করে ফায়ার করতামৃ, আমার যেহেতু অস্ত্র আছে দুইটা, আমার ওয়াইফ ও আমার ছেলেমেয়েরা একটু শিখত। শ্যুটিং একটা স্পোর্টস। এরা এখন থেকে শিখলে এটা ঠিক হবে, এটুকুই।’

ঘটনাটি বেআইনি নয় দাবি করে বিচারক বলেন, ‘ওই সময় আগ্নেয়াস্ত্রে ব্যবহারে সেরকম বিধিমালা ছিল না।’

বাচ্চাদের আগ্নেয়াস্ত্র চালনা শেখানো নৈতিকভাবে কতটুকু ঠিক এমন প্রশ্নের জবাবে বিচারক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এটা বাচ্চারা শখ করে করেছে। তবে এটা করা ঠিক হয়নি। সেজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’

(ঢাকাটাইমস/৬সেপ্টেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :