সাংসদ শিখরের মামলায় মানবজমিন সম্পাদকসহ ৩১ জনকে অব্যাহতি

প্রকাশ | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:০৬ | আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:০৭

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শিখরের দায়ের করা মামলায় দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩১ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এই মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে চার্জশুনানির তারিখ ২০ অক্টোবর ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত পুলিশের দেওয়া চার্জশিট আমলে গ্রহণ করে এই আদেশ দেন।
মামলায় সাংবাদিক কাজল উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। মঙ্গলবার তিনি ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বলে আইনজীবী জায়েদুর রহমান জানিয়েছেন।
অব্যাহতি পাওয়া অপর ৩০ আসামি হলেন- মানবজীবন পত্রিকার রিপোর্টার আল-আমিন, প্রিন্স ফাহিম, আরিফুল ইসলাম আরিফ, ফরহাদ খান, জুয়েল আহমেদ, মোহাম্মাদ মোসলেম, মো. মিজানুর রহমান, মোর্শেদ আলম, কাকন আবু হানিফ, মো. রুবেল, আয়েশা আমান, মো. শামিম আক্তার, মো. সাত্তার মৃধা, মো. তৌফিক, মিলি হাসান, হাবিব আদনান, ঋষি কান্ত, মো. সোহেল হোসেন, ছালেহ আহমেদ, জসিম উদ্দিন জসিম, মো. খাইরুল ইসলাম, হেদায়েতুল ইসলাম, মো. মাহফুজ আহমেদ, এম এ মামুন, মো. হেলাল, সেলিম চৌধুরী, ইস্পাত  মোহাম্মাদ, বেলায়েত হোসেন, মারুফ রাজু ও মকটেল হোসেন মুক্তি।
মাগুরা-১ আসনের এমপি মো. সাইফুজ্জামান শিখর গত বছর ৯ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৬/২৯/৩১ ধারায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের (বর্তমানে বহিষ্কৃত) সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২ মার্চ মানবজমিন পত্রিকায় মতিউর রহমানের নির্দেশে রিপোর্টার আল-আমিন ‘পাপিয়ার মুখে আমলা, এমপি, ব্যবসায়ীসহ ৩০ জনের নাম’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেন। সেখানে সংসদ সদস্যদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, কুষ্টিয়া ও মাগুরা জেলার একজন করে সংসদ সদস্যের পাপিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া অপর আসামিরা তাদের ফেসবুক আইডিতে পাপিয়ার খদ্দের ও সংশ্লিষ্টতায় মন্ত্রী, এমপি, আমলা এবং ব্যবসায়ীসহ অনেকে জড়িত মর্মে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তালিকা প্রকাশ করেছেন। যার মধ্যে বাদীর নাম আছে। ওই সব মিথ্যা মানহানিকর সংবাদ ও মন্তব্য বাদী জাতীয় সংসদে বসে গত ৪ মার্চ সন্ধ্যায় প্রত্যক্ষ করেন। তা প্রকাশের মাধ্যমে আসামিরা বাদী এবং সংসদ সদস্যদের সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করে সুনাম ক্ষুণ্ন করেছেন। আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করে বাদীকে হেয়প্রতিপন্ন করে স্বার্থ হাচিলের অপচেষ্টা করেছেন। তাই বাদী মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছেন।
চলতি বছরের ৮ এপ্রিল এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
(ঢাকাটাইমস/০৭সেপ্টেম্বর/আরজেড/জেবি)