স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে দৃশ্য ধারণ, গ্রেপ্তার ২

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২২:৩৩

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের দৃশ্য ধারণ করে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে।

এই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা মঙ্গলবার ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি আইনে অভয়নগর থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাহাবুবুর রহমান (৪০) ও অনিক বাঘা (২৬) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার মাহাবুব অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া গ্রামের বাশার মোড়লের ছেলে এবং অনিক একই উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের নাসির বাঘার ছেলে।

মামলার এজাহারে স্কুলছাত্রীর মা বলেন, তার মেয়ে অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্রী এবং সঙ্গীত শিল্পী। ছোটবেলা থেকে তার সাংবাদিকতা করার শখ। এটা জানতে পেরে মাহাবুবুর রহমান তাকে সাংবাদিকতার কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দেখান এবং তার কাছ থেকে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও জন্মনিবন্ধনের কার্ড নেয়া হয়। এ সময় মাহবুবুর তার ফেসবুক আইডির তথ্যও নেন। প্রায়ই তার সঙ্গে তিনি ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলতে থাকেন।

হঠাৎ তার মেয়েকে সাংবাদিকতার ফরম পূরণ করার জন্য মাহাবুব তার বাড়িতে ডাকেন ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে। মেয়ে বাড়িতে যেতে রাজি না হওয়ায় তিনি তাকে চলিশিয়া গ্রামের তার মাছের ঘেরের বাসায় যেতে বলেন। গত ২১ আগস্ট দুপুরে ওই মেয়ে মাহাবুবের ঘেরের বাসায় গেলে তিনি সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন।

ধর্ষণের দৃশ্য (ছবি ও ভিডিও) মোবাইলে ধারণ করেন মাহাবুব। তিনি এ সময় ঘটনাটি কাউকে জানালে ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে ভিডিও ডিলিট করার কথা বলে মাহাবুবুর রহমান তাকে উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারের কাঁচাবাজারের পেছনের একটি স-মিলে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে মাহাবুবুর রহমান ও অনিক বাঘা তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।

মেয়েটি চাঁদার টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তার অশ্লীল ছবি ও ভিডিও মেয়েটির বাবা ও ছোট বোনের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পাঠান মাহাবুব। টাকা না দিলে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি।

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শামীম হাসান বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের দৃশ্য ধারণ করে চাঁদা দাবির অভিযোগে ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মাহাবুবুর রহমান ও অনিক বাঘাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওসি জানান, মঙ্গলবার দুজন আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। এ ছাড়া ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ২২ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৭সেপ্টেম্বর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :