মাদারীপুরে কুমার নদে বিলীনের পথে টেকেরহাট-কালীবাড়ি সড়ক

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:৩২

সাগর হোসেন তামিম, মাদারীপুর

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট-কালীবাড়ি ফিডার সড়কের কিছু অংশ কুমার নদে বিলীন হয়ে গেছে। যা এখনও ভেঙে চলছে। যে কোন মুহূর্তে সড়কটির পুরো অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। রবিবার রাত থেকে সোমবার রাত ৯টা পর্যন্ত সড়কটির এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে টেকেরহাট সংলগ্ন শংকরদী গ্রামের মুন্সীপাড়া একটি জামে মসজিদসহ প্রায় ২০টি বসতঘর নদী ভাঙনের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। বিগত কয়েক বছরে এ এলাকা থেকে প্রায় ৩০টি পরিবারের বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় অন্যত্র চলে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট-কালীবাড়ি ফিডার সড়কের গোয়ালবাথান উত্তরপাড়া নামক স্থানে প্রায় ১০০ মিটার পাকা সড়ক কুমার নদে বিলীন হওয়ার পথে। সড়কটির বেশিরভাগই নদে চলে গেছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে পুরো সড়কটি নদে বিলীন হয়ে যেতে পারে। সড়কটি পুরো বিলীন হয়ে গেলে বিদ্যানন্দী মাঠের হাজার হাজার একর জমির ধান নদের পানিতে তলিয়ে যেতে পারে।

এদিকে টেকেরহাট সংলগ্ন শংকরদী গ্রামের মুন্সীপাড়া একটি জামে মসজিদ, লাবলু মুন্সী, কেনাল মুন্সী, তানভীর মুন্সী, তৈয়ব মুন্সী, আসমত মুন্সী, লুৎফর মুন্সী, রফিকুর মুন্সীর বসতঘরসহ প্রায় ২০টি বসতঘর নদী ভাঙনের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। এছাড়া বিগত কয়েক বছরে এ এলাকা থেকে প্রায় ৩০টি পরিবারের বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় অন্যত্র গিয়ে বসবাস করছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানায়।

এ ব্যাপারে গোয়ালবাথান এলাকার নারায়ণ হালদার, ফেরদাউস, মিরুল, শহর আলীসহ অনেকেই জানিয়েছেন, কুমার নদ থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখনই ভাঙন প্রতিরোধ করা না হলে বিদ্যানন্দী মাঠের সকল ফসলি জমি নদের পানিতে ডুবে যাবে। এতে আমরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত  হব।

হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, ভাঙন রোধে উপরস্থ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। না হলে রাস্তা রক্ষা করা যাবে না। যেভাবে ভাঙছে, তাকে দ্রুত জিও ব্যগ ফেলতে হবে।’

রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান জানান, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীর সাথে কথা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভাঙন রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, ‘বর্ষাকালে নদের ভাঙনে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়াও মাদারীপুরে নদ-নদীর ভাঙন রোধে বড় প্রকল্প পাঠানো হয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/৮সেপ্টেম্বর/এলএ)