চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে গৃহবধূকে পতিতালয়ে বিক্রি, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:১৯

গাজীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে গাজীপুরের এক গৃহিনীকে (২২) নিয়ে রাজবাড়ির গোয়ালন্দ থানার দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে বিক্রির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার শিকার গৃহবধূকে বুধবার পতিতালয় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার সোহেল রানা (২৫) রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার সামসু মাস্টার পাড়া গ্রামের বাবুল সরদারের ছেলে। বৃহস্পতিবার সোহেলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাসন থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ মালেক খসরু জানান, ভিক্টিমদের সংসারে অভাব-অনটন থাকায় গৃহবধূ চাকরির খোঁজ করছিলেন। ১১ আগস্ট সকালে ওই গৃহিনী গাজীপুরের বাসন থানার ভোগড়া বাইপাস এলাকার রুপা গার্মেন্টসের সামনে চাকরির খোঁজে যান। পরে তিনজন লোক চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে তাকে গাড়িতে তুলে সাভারে নিয়ে যায়।

সাভারে রাসেল নামে এক যুবকের কাছে ৫০ হাজার টাকায় হস্তান্তর করা হয় গৃহবধূকে। রাসেল পরে এক লাখ ২০ হাজার টাকায় দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে তাকে বিক্রি করে দেন।

স্ত্রী বাসায় না ফেরায় তার স্বামী ভিক্টিমের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু স্ত্রীর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান। পরে তিনি ওই গার্মেন্টসে এবং বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন এবং ঘটনাটি তার স্বজনদের জানান। তারপরও কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে এ ব্যাপারে ৭ সেপ্টেম্বর বাসন থানায় একটি জিডি করেন। জিডির পর ওইদিনই ভিক্টিমের বড় বোনের কাছে একটি ফোন আসে যে তার ছোট বোনকে দৌলদিয়া পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে।

ভিক্টিমের স্বামী ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ ৮ সেপ্টেম্বর পতিতালয় থেকে ভিক্টিমকে উদ্ধার এবং এ ঘটনায় জড়িত ঢাকার বড় মসজিদ উত্তরখান এলাকা থেকে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় বুধবার চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভিক্টিমের স্বামী। মামলার প্রধান আসামি সোহেল রানা।

এ চক্রের বিরুদ্ধে নানা কৌশলে নারী পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার সোহেলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/৯সেপ্টেম্বর/কেএম)