তুরাগের ভাঙনে ভিটেহারা বহু পরিবার

আশিকুর রহমান, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)
 | প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:৪৬

চলতি বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে বন্যার পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে তুরাগ নদীর গাজীপুরের কালিয়াকৈর অংশের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে ঢলে কয়েকটি স্থানের ভাঙনে ভিটে মাটি হারাচ্ছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। ভাঙন ঠেকাতে নিজেরা উদ্যোগ নিলেও তাতে লাভ হচ্ছে খুব একটা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার কুতুবদিয়া, নামাআশুলাই, কালিয়াদহ, গর্জনখালি, বড়ইবাড়ী, কুন্দাঘাটা, গলাচিপাসহ দশটিরও বেশি স্থানে নদীর পাড় ভাঙনে ঘরবাড়ি, রাস্তা-ঘাট, মাছের খামার ও ফসলি জমি ভেঙে নদীতে বিলীন হচ্ছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর নদী ভাঙনে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে নদীর পাড়ের বাসিন্দারা।

কালিয়াদহ গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ বলেন, প্রতিবছর একটু একটু করে ভাঙে, আমিও ঘর ভেঙে সরিয়ে আনি। আবার ভাঙে আবার সরে আসি। এবার আর যাওয়ার জায়গা নাই। এইবার সব নদীতেই যাবে।

মনোরঞ্জন নামের ভুক্তভোগীএক বাসিন্দা জানান, গত তিন বছর ধইরা ভাঙনের হাত থাইকা রক্ষা পাই নাই। বাড়ির ভিটে সব নদীতেই খাইছে। এবছরও শেষ রক্ষাও হইব না।

ভুক্তভোগী জোসনা বেগম বলেন, স্বামী নাই সন্তান নাই, একা একা বসবাস করি। বয়সের ভারে এহন আর নদীর লগে যুদ্ধ করবার পারি না। আমার সব ভাইঙ্গা লইয়া যাইতাছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সঠিক সময় নদী খনন না করায় প্রতি বছর বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন দেখা দেয়।

এ ব্যাপারে নদী বাঁচাও আন্দোলনের কালিয়াকৈর শাখার সভাপতি নারায়ন সরকার ঢাকা টাইমসকে জানান, সরকার তুরাগ নদীর প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য একটি নদী খনন প্রকল্প চালু করেছে। তবে তার কাজ চলছে ধীর গতিতে। নদীর পাড় রক্ষার্থে দ্রুত নদীর তলদেশ খননের পাশাপাশে দুই পাড় বাঁধলে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, নদী ভাঙনসহ বন্যায় পানিবন্দি পরিবার জরুরি সহায়তার জন্য ৩৩৩ সার্ভিসে কল করলে সাহায্য মিলবে। এছাড়াও আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

(ঢাকাটাইমস/১০ সেপ্টেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :