কালিয়াকৈরে ১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা অনিশ্চিত

প্রকাশ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:০৫ | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:০৬

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ১২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১০৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার জন্য প্রস্তুত থাকলেও বাকি ১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার কবলের কারণে চালু করা যাচ্ছে না।

উপজেলার ফুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লতিফপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৌচাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সফিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোথাজুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলার ১০৩টি বিদ্যালয়ের ভবন, বেঞ্চ, জানালা-দরজা মেরামত, রং করা, বেসিন স্থাপনসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

অন্যদিকে উপজেলার ঢালজোড়া, মধ্যপাড়া, মৌচাক, চাপাইর, আটাবহ ইউনিয়নের ১৯টি বিদ্যালয়ের মাঠে বর্ষার পানি জমে থাকার কারণে কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয় চালু করতে হিমশিম খাচ্ছেন।

উপজেলার বাঁশতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মতিউর রহমান বলেন, করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় অমনোযোগী হয়ে পড়েছে। বই-খাতা ছেড়ে অধিকাংশ শিশু বিভিন্ন ক্ষতিকারক মোবাইল গেমসে আসক্ত হয়ে পড়েছে।

তবে সরকার স্কুল খোলার নির্দেশ দিলেও ব্যন্যার পানির কারণে বিদ্যালয় খোলা অনিশ্চিত রয়েছে।

বলিয়াদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রত্না অধিকারী বলেন, এরই মধ্যে স্কুল খোলার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্দেশনা মোতাবেক স্কুল পরিচালনার জন্য সব প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। তবে বন্যার পানির জন্য স্কুল খোলা এবং শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকার নিশ্চয়তা রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ঘাটতি পূরণসহ অন্তর্বর্তীকালীন পাঠ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্লকভিত্তিক ওয়ার্কশিট বিতরণ ও সচেতনতা সৃষ্টি, পাঠের বিষয়বস্তু অনুধাবনে সহায়তা দেয়া, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় অব্যাহত ছিল।

আমরা সব সময় স্কুল খোলার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। স্কুল খোলার পর অভিভাবকরা যাতে তাদের সন্তানদেরকে অবশ্যই স্কুলে পাঠায় সেই ব্যাপারে তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করে কথা বলা হচ্ছে।

কালিয়াকৈর উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলাম বলেন, এরই মধ্যে উপজেলার ১০৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের পাঠদানের প্রস্তুতি রয়েছে।

শিক্ষা অফিসার বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল পরিচালনার সব উপকরণ (মাস্ক, হ্যান্ডওয়াশ, সাবান ,হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ইনফারেড থার্মোমিটার) প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। আমাদের ১৯টি বিদ্যালয়ের মাঠে বর্ষার পানি। এ কারণে সেগুলো আপাতত চালু করতে পারছি না।

(ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/কেএম)