শিক্ষার্থী এসেছে, পালন হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:১০

দীর্ঘ ৫৪৩ দিন পর স্কুলমুখী হয়েছে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা অনেক শিক্ষার্থী স্কুলড্রেস ছাড়াই এসেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধির দিকে নজর দিচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

রবিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেঙ্গলি মিডিয়াম হাই স্কুল, ঢাকা স্টেট কলেজ, মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, সকালে নির্ধারিত সময়ের আগে থেকেই শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে আসতে শুরু করেন।

এ সময় শতভাগ শিক্ষার্থীর মুখেই মাস্ক দেখা গেছে। শিক্ষকরাও রয়েছেন মাস্ক ও এপ্রোন পরিহিত অবস্থায়।

মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ফটকে দেখা যায়, তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা মেপে প্রবেশ করানো হচ্ছে। কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদেরকে দেওয়া হচ্ছে মাস্ক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের প্রধানশিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ প্রতিপালনের জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। গতকাল পুরো স্কুল পরিষ্কার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষ প্রস্তুত আছে। সেখানে সামাজিক দূরত্ব মেনে যেন শিক্ষার্থীরা বসতে পারে এবং বসে আমরা সেটি নিশ্চিত করছি।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধির প্রতি খেয়াল রাখতে স্কুলগেটের ভেতরে কোনো অভিভাবককে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি গেটের সামনেও কোনো হকারকে দাড়াতে দেওয়া হচ্ছে না।

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ৫৪৩ দিন গৃহবন্দি থাকার পর আজ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানমুখী হয়েছে শিক্ষার্থীরা। খোলা হয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিশু-কিশোর, তরুণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে আবার মুখর হয়েছে শ্রেণিকক্ষ। তাদের পদচারণায় প্রাণময় হয়ে উঠেছে দীর্ঘ দেড় বছর নির্জীব পড়ে থাকা প্রিয় আঙিনা। তবে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এখনো শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

যে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এত দিন ধরে বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সেই অদৃশ্য ভাইরাস যে দূর হয়ে গেছে তা নয়। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

গত ছয় মাসের অনুসন্ধান বলছে, গত দেড় বছরে প্রাথমিকের অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থী দিনমজুর ও হকার বনে গেছে। মাধ্যমিকের অনেক মেয়ে শিক্ষার্থীর এরই মধ্যে বিয়ে হয়ে গেছে। সংসারের পাশাপাশি তারা আবারও শ্রেণিকক্ষে বসবে এমন ভাবনা নেই অধিকাংশের মধ্যে। ফলে আজ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও পুরনো শিক্ষার্থীর অনেকেরই দেখা নেই।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রতি বেঞ্চে একজন শিক্ষার্থীর বেশি বসা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা জিগজ্যাগ তথা জেড বিন্যাসে বসবে। শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে একই শ্রেণিকে একাধিক গ্রুপে ভাগ করে একাধিক কক্ষে ও একাধিক শিক্ষকের সহায়তায় পাঠদান চালাতে হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ রকম মোট ১৬টি নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

এর আগে সার্ভ-কোভ-২ বা কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। বেশ কয়েক বার উদ্যোগ নিলেও কোভিড-১৯ এর উচ্চ সংক্রমণের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে সংক্রমণ কম থাকায় ১৬টি নির্দেশনা দিয়ে খুলে দেওয়া হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

(ঢাকাটাইমস/১২সেপ্টেম্বর/কারই/কেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

স্বস্তি নেই মাছ-মাংসে, ফের বাড়ছে আলু-পেঁয়াজের দাম 

ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি শুরু

ঢাকায় কর দিয়ে ২৬৮০ বিয়ে 

সংরক্ষিত আসনের এমপিদের মধ্যেও সংখ্যায় এগিয়ে ব্যবসায়ীরা: সুজন

মানবাধিকার ও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা জরুরি: ড. কামাল উদ্দিন

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রেলকে গড়ে তুলতে হবে: রেলমন্ত্রী

ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

জিম্মি নাবিকদের মুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :