খাদ্য ও পুষ্টি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে: খাদ্যমন্ত্রী
ক্ষুধামুক্ত, আত্মনির্ভরশীল ও উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়া বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে অন্যান্য খাতের মতো দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও বাস্তবমুখী ও শক্তিশালী করতে বিশদ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ সমন্বিতভাবে মোকাবিলার লক্ষ্যে খাদ্য ও পুষ্টি-খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
রবিবার সকালে ঢাকার আগারগাঁয়ে পর্যটন ভবন অডিটোরিয়ামে ইউএন ফুড সিস্টেম সামিট ২০২১ এর প্রস্তুতির জন্য আয়োজিত ‘স্টেজ- থ্রি: মেম্বার স্টেট ডায়ালগ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে মৌলিক অধিকারসমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সবার জন্য আজ সে লক্ষ্য অর্জনের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছি আমরা। এজন্য জনগণকে অভিনন্দন জানাতে চাই। তাদের নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বঞ্চনাকে ক্রমশ দূরে ঠেলে দিতে সক্ষম হয়েছি আমরা। এ অগ্রগতির ধারাকে এগিয়ে নিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সারিতে আসন নিশ্চিত করতে চাই।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. লুতফুল হাসান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো, জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন এবং গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (এফপিএমইউ) মো. শহীদুজ্জামান ফারুকী।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, খাদ্য বিশেষজ্ঞগণ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১২সেপ্টেম্বর/এসকেএস/জেবি)