যেসব খাবার খেলে ব্রনমুক্ত ত্বক পাবেন
ব্রন বা অ্যাকনে মানুষের ত্বকের গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা। মুখের সৌন্দর্যকে এক নিমেষে মাটি করে দিতে পারে ব্রন, অ্যাকনে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন এবং খাদ্যাভ্যাসের কিছু পরিবর্তনেই পাওয়া যেতে পারে ব্রন-অ্যাকনে মুক্ত ত্বক।
ত্বক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, পরিস্কার ত্বক পাওয়ার জন্য খাবারের তালিকায় স্বাস্থ্যকর উপাদান থাকা জরুরি। যাতে রক্ত পরিশুদ্ধ থাকে। পাশাপাশি ধুলো, ময়লার হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য ত্বক নিয়মিত পরিস্কার করাও দরকার। কোন কোন খাবার খেলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব, তারও পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। স্বাস্থ্যকর খাবার ব্রণের পাশাপাশি ত্বকের দাগ কমানোর পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল করতেও সাহায্য করে।
প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার পাশাপাশি জিঙ্ক, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার তালিকায় রাখা প্রয়োজন। এর জন্য সূর্যমুখীর বীজ, পেয়াকা, কিউয়ি, কমলালেবু, ডিম প্রভৃতি অবশ্যই রাখতে হবে বলে জানাচ্ছেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, সুস্থ ত্বক পেতে সপ্তাহে অন্তত দুদিন স্যামন, টুনাজাতীয় মাছ খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। এই সমস্ত মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। ত্বক সুস্থ রাখার পাশাপাশি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যাও প্রতিরোধ করে।
মাছ খেলে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করে। কারণ মাছে আছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। মাছের তেলও ত্বকের জন্য উপকারী।
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন রয়েছে। ত্বকে টমেটোর ব্যবহার পিগমেন্টেশনের হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বককে হাইড্রেট রাখতে এবং ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে দারুণ উপকারী টমেটো।
ব্রণ কমানোর অন্যতম উপায় হলো প্রচুর পরিমাণে পানি পান। এটি শরীর থেকে সব টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। ত্বক সজীবও রাখে। ত্বক সুস্থ রাখতে দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পান করা উচিত। ত্বক যত বেশি হাইড্রেটেড থাকবে, তত ত্বকের সমস্যা কম হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এছাড়া প্রতিদিন দু গ্লাস করে চিনি ছাড়া লেবুর পানি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
ঢেকিছাঁটা কিংবা হালকা করে ছাঁটা বাদামি চালে আছে ভিটামিন বি, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এর মধ্যে ভিটামিন বি দেহের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। এতে ত্বকের ব্রণও নিয়ন্ত্রণ করা খুবই সহজ হয়।
ত্বক সুস্থ রাখতে ডাব বা নারিকেলের পানিও খেতে পারেন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মৌরি খেলেই ত্বকের ব্রণ সমস্যার উপশম হয়। মৌরিতে আছে আয়রন, কপার, পটাসিয়াম, জিংকের মতো উপাদান।
বাদামে ভিটামিন ই, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও আয়রন আছে। যা ত্বক সুস্থ রাখার পাশাপাশি ব্রণ হওয়ার প্রবণতা রোধ করে।
আঙুর সবারই পছন্দের ফল। লাল আঙুরে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের প্রদাহ রোধ করে। ব্রণ হওয়ার প্রবণতাও কমিয়ে দেয়।
রসুনের অনেক উপকারিতা। ত্বকের জন্যও রসুন উপকারী। শরীরের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ত্বকের সমস্যা দূর করে।
(ঢাকাটাইমস/১৩ সেপ্টেম্বর/আরজেড/এজেড)