যোগব্যায়ামের সময় যে কাজগুলো করবেন না

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যোগব্যায়ামের ভূমিকা অনেক। রক্ত সঞ্চালন থেকে শুরু করে শরীরের যেকোনো ব্যাথা বা কষ্ট কমাতে যোগ ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। যোগব্যায়াম আপনাকে আরও ধৈর্যশীল এবং সহনশীল হতে শেখায়। সুস্থ শরীরের ভাষা বোঝে যোগব্যায়াম।

যোগ শব্দ সংস্কৃত শব্দ ‘ইউয্‌’ থেকে এসেছে। যার মানে হল একত্রিত; আত্মার সাথে পরমাত্মার সংযোগ। যোগ বিশেষজ্ঞদের সংজ্ঞানুসারে যোগ অর্থাৎ মনের পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করা।

যোগব্যায়াম করার সময়ে বেশ কিছুদিক মাথায় রাখা জরুরি। অন্যথায় বিপদ হতে পারে। তাই যোগাসন করার সময়ে কোন কাজগুলো একেবারেই করবেন না তার একটি প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হল। জেনে নিন।

অনুশীলনের সময়ে প্রশিক্ষক বিশেষভাবে উল্লেখ না করা পর্যন্ত অস্বাভাবিকভাবে শ্বাস ধরে রাখবেন না। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। যোগব্যায়াম করাকালীন স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিন। বন্ধ করবে না। প্রাণায়ামের ক্ষেত্রে শ্বাস-প্রশ্বাসের বিশেষ নিয়ম আছে।

ক্লান্তি, জ্বর বা অসুস্থ থাকাকালীন যোগাভ্যাস না করাই ভাল। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় পেটে চাপ পড়ে এমন যোগাসন অভ্যাস করবেন না। তবে প্রাণায়াম করা যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে কোনও যোগব্যায়াম করবেন না। বয়স ও রোগ অনুযায়ী কোন কোন আসন করা দরকার তার জন্য অভিজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে করাই ভাল।

যোগব্যায়ামের সময়ে টাইট কাপড় পরা থেকে বিরত থাকুন। জুতা পরবেন না।

আসন করার পরই গোসল করা উচিত নয়। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারপর স্নান করুন। গোসল করার পর যোগব্যায়াম করা যেতে পারে।

যোগব্যায়ামের সময়ে ঋতুকালীন মহিলারা কঠিন আসন এড়িয়ে চলুন। ফ্রি হ্যান্ড বা শ্বাস-প্রশ্বাসের হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে।

আসন অভ্যাস করার সময়ে অতিরিক্ত পানি খাবেন না। এই সময়ে বেশি কথা বলা এড়িয়ে চলুন।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ না নিয়ে কিছু না করাই ভাল। বিশেষ করে তিরিশের বেশি বয়সের ব্যক্তিদের কঠিন আসন করা উচিত নয়।

যোগব্যায়াম ভরাপেটে করা উচিত নয়। পেট ভরে খাবার খাওয়ার আড়াই থেকে তিন ঘণ্টার আগে ব্যায়াম করবেন না।

যোগব্যায়াম করার ১ ঘন্টা আগে খেয়ে নিতে হবে। যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে ইয়োগা করার ২০ মিনিট আগে ১টা কলা খেয়ে নিতে পারেন। খাওয়ার সাথে সাথে যোগব্যায়াম করলে হজমে সমস্যা হতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/১৩ সেপ্টেম্বর/আরজেড/এজেড)