যেসব জিনিস অর্থের চেয়েও বেশি আনন্দ দেয়
প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৪৮
বলা হয় টাকা দিয়ে সুখ বা আনন্দ কেনা যায় না! চলমান জীবনে অনেকের বিশ্বাস, টাকা থাকলেই আনন্দ আছে। টাকা না থাকলে কোনও আনন্দ নেই। সম্প্রতি এক সমীক্ষা বলছে অন্যকথা, টাকা থাকা মানেই জীবনে আনন্দ থাকবে— তার কোনও মানে নেই। বরং সমীক্ষায় উঠে এসেছে অন্য তিনটি বিষয়। সেই জিনিসগুলো নাকি মানুষকে অর্থের চেয়েও বেশি আনন্দ দেয়। তেমনই বলছে ‘গ্রেটার গুড সায়েন্স সেন্টার’ নামের গবেষণাকারী সংস্থার সমীক্ষাটি।
সুসম্পর্ক
সুসম্পর্কের বিষয়টি গবেষণার তালিকার একেবারে প্রথমেই আছে। সুসম্পর্ক মানুষকে সুখী এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করে। বিশেষ করে বৈবাহিক বা প্রেমের জীবন যদি সুখের হয়, তা হলে জীবনে আনন্দের মাত্রা বেড়ে যায়। অর্থনৈতিক অভাবও সেখানে বিশেষ চাপ সৃষ্টি করে না। দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশে সমীক্ষা চালিয়ে এই দাবির সপক্ষে অনেকগুলো উদাহরণ উঠে এসেছে। শুধুমাত্র ভালবাসার কারণেই মানুষ অর্থের অভাবের মধ্যেও বেশ আনন্দে আছেন।
শরীরচর্চা
সুস্থ থাকতে হলে শরীরচর্চা করা খুবই জরুরি। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে বহু রোগ থেকে মুক্ত হওয়া যায়। এছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা করলে মন ভাল হয়। কারণ মন ভাল রাখার হরমোনগুলোর ক্ষরণ বাড়ে এর ফলে। কিন্তু সেই ভাল থাকার পরিমাণ কতটা। তাকে কি টাকার অঙ্কে ব্যাখ্যা করা যাবে। সমীক্ষা এই প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছে। বলা হয়েছে, এক জন গড়পড়তা আমেরিকার নাগরিকের বার্ষিক বেতন যদি ভারতীয় অঙ্কে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাড়ে, তা হলে তিনি যতটা আনন্দ পান, রোজ শরীরচর্চা করলেও ঠিক ততটাই আনন্দ হয়।
যাতায়াতের সময়
গবেষণার তালিকার প্রথম দুইটি বিষয় পড়েই অবাক হতে পারেন কেউ। টাকার চেয়েও বেশি আনন্দ দেয় এগুলো। সে ক্ষেত্রে তৃতীয় বিষয়টি আরও বিস্ময়কর ঠেকতে পারে তাদের কাছে। সমীক্ষাটি বলছে, অফিস বা কর্মক্ষেত্র থেকে যাতায়াতের সময় কমলে, মানুষের মন ভাল হতে থাকে। এবং সময় বাড়লে ঠিক উল্টোটা। এটিকেও সংখ্যায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে সমীক্ষায়। কর্মক্ষেত্র থেকে যাতায়াতের সময় ২০ মিনিট বেড়ে গেলে মানুষের ঠিক ততটা বিরক্ত লাগে, যতটা বিরক্ত লাগে বার্ষিক বেতন ১৯ শতাংশ কমে গেলে।
পরিসংখ্যানের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে, টাকা জীবনে আনন্দের একমাত্র উৎস নয়। নিঃসন্দেহে অর্থনৈতিক উন্নতি হলে আনন্দ বাড়ে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি আনন্দ যে যে জিনিসগুলো দিতে পারে, সেই তালিকার প্রথম তিনে নেই টাকা। সেটিই প্রমাণ করেছে এই সমীক্ষা।
(ঢাকাটাইমস/১৪ সেপ্টেম্বর/আরজেড/এজেড)