বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:৫৩

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ক্যাম্পাস খোলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে টিকার বুথ করে সব শিক্ষার্থীর ভ্যাক্সিনেশন নিশ্চিত করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা ১২টার দিকে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন।

স্মারকলিপিতে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হল খুলে দিয়ে ক্যাম্পাসে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম সচল করাসহ তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। এতে বলা হয়, গত ১৯ মার্চ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সারা দেশের মতো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সেই বন্ধের মেয়াদ প্রথমে দুই সপ্তাহ ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে নানা মেয়াদে শুধু বাড়তে থাকে।

এরই মাঝে কয়েকবার লকডাউন তুলে নেওয়া এবং পুনরায় জারি করা হলেও একবারের জন্যও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়নি। দেশের কল-কারখানা থেকে শুরু করে বিনোদন কেন্দ্র, হাট-বাজার সবকিছুই খোলা রয়েছে। এমনকি গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও খুলে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে হলে অবস্থান করছেন অথবা অন্তত হল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আন্দোলনকারীরা বলেন, অতি দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে প্রশাসনের কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ও উদ্যোগ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি। শিক্ষার্থীদেরকে এক নিদারুণ অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। ইন্টারনেট গতির সমস্যা, নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে ও অন্যান্য কাজকর্মের জন্য শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশই বাধ্য হচ্ছেন ক্যাম্পাসের আশেপাশে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে। এ অবস্থায় সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে না দিয়ে আরও একমাস এই খরচ বহন করতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা অমানবিক।

শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্যের কথাও যদি বিবেচনায় নেওয়া হয়, তবু মেসের চেয়েও নিরাপদ পরিবেশ হবে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ ইতোমধ্যে টিকার অন্তত প্রথম ডোজ সম্পন্ন করেছেন। বহু শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে এসএমএসের অপেক্ষা করছেন। হল খুলে দিয়ে ক্যাম্পাসে ভ্যাকসিনেশন বুথ স্থাপন করে তাদেরকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই টিকা দেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন বিক্ষোভকারীরা। তাই জরুরি ভিত্তিতে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই হল-ক্যাম্পাস সচলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।

অন্যদিকে ক্যাম্পাস খোলার কোনো পরিকল্পনা বা উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের সামনে স্পষ্ট না হওয়ায় তাদের অনেকেই অনর্থক ভোগান্তির আশঙ্কাও প্রকাশ করছেন। ঠিক কবে ক্যাম্পাস খুলবে, নাকি আবারও একইভাবে ছুটি বর্ধিত করে দেওয়া হবে, এই অপেক্ষার শেষ কবে হবে, এই প্রশ্নগুলোর কোনো সন্তোষজনক উত্তর শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন না।

শিক্ষার্থীদের এসব বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানানো হয়-

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা তিন দফা দাবিগুলো হলো-

১। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল করতে হবে।

২। ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সচল করবার তারিখ ঘোষণা করতে হবে।

৩। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাকসিনেশন বুথ স্থাপন করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন গ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/কেএম)