গাড়ি, মোবাইল ও প্রসাধনী বক্স ফেরত চাইলেন পরীমনি

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:৫৫

চলচ্চিত্র নায়িকা শামসুন্নাহার স্মতি ওরফে পরীমনি আদালতে বলেছেন, তার বাড়ি থেকে মামলায় জব্দ করা গাড়ি, মোবাইল, প্রসাধনীর বক্স তার প্রয়োজন। এগুলো মামলায় জব্দ করায় তার অনেক অসুবিধা হচ্ছে। এজন্য তিনি এগুলো দ্রুত ফেরত চেয়েছেন।

বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে তিনি ওইসব জিনিস নিজ জিম্মায় চান।

এর আগে এদিন মাদক আইনের ওই মামলায় পরীমনি বেলা পৌনে ১১টার দিকে কালো রঙের একটি গাড়িতে আদালতে আসেন।

অ্যাডভোকেট নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী পরীমনির সাদা রঙের গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জব্দ হওয়া জিনিসপত্র চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।

আইনজীবী বলেন, ‘আমরা আদালতে দুইটি আবেদন করেছি। একটি পরীমনির ব্যবহৃত সাদা গাড়িটি জিম্মায় নেওয়ার এবং আরেকটি হচ্ছে তার মোবাইল ল্যাপটপসহ জব্দ করা অন্যান্য জিনিসপত্রের। এগুলো পরীমণির নিজের ব্যবহৃত জিনিস। অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এগুলো জব্দ করে। সেজন্য আমাদের কাছে কোনো ডকুমেন্ট নেই। যেহেতু তিনি একজন চিত্রনায়িকা। অন্ততপক্ষে গাড়িটি যেন তার জিম্মায় দেওয়া হয়।’

এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে পরীমনি আদালতকে বলেন, ‘গাড়িটি আমার। গাড়ির সব কাগজপত্র আমার কাছে আছে। গাড়িটি না থাকায় আমি চলাচলে খুব সমস্যা বোধ করছি। মোবাইলের কারণে আমি কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। জব্দ হওয়া প্রসাধনীর বক্সটি আমার খুব প্রয়োজন। এছাড়াও চাবির বক্স রয়েছে। এগুলো আমার খুব প্রয়োজন। আমি অনুরোধ করছি এগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।’

আলোচিত এই নায়িকা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন আমার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে, তখন সব ড্রয়ার ও আসবাবপত্র তছনছ করে ফেলে। এমনকি প্রেসক্রিপশনসহ আমার ওষুধের বক্সটা পর্যন্ত তারা নিয়ে যায়। আমার গাড়িসহ অন্যান্য জিনিসের কোনো কাগজপত্র আমার কাছে নেই। বাসায় আমি ছাড়া আর আমার কোনো কিছুই নেই।’

শুনানি শেষে বিচারক তদন্ত কর্মকর্তাকে বিআরটিএ থেকে গাড়ির সঠিক মালিকানা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। শুনানি শেষ হওয়ার পর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আদালত থেকে চলে যান পরীমনি।

গত ৪ আগস্ট বিকালে বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। মাদকের মামলায় পরীমনির ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আবারও ১৯ আগস্ট এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন তিনি কারামুক্ত হন।

(ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/আরজেড/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :