‘৭ দিনের মধ্যে অনিবন্ধিত সব পোর্টাল বন্ধ করা সমীচীন হবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:২৩ | প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:০৩

নিবন্ধন পেতে অনেক অনলাইন নিউজ পোর্টালের আবেদন থাকায় সাত দিনের মধ্যে অনিবন্ধিত সব অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া সমীচীন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, আদালতকে আমরা জানাব, সাত দিনের মধ্যে সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া সমীচীন হবে না। তবে অনেকগুলো বন্ধ করব, আদালতকে জানাব, আসলে কী প্রক্রিয়ায় রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে।

বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।

অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। যারা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আদালতকে আমরা জানাব, সাত দিনের মধ্যে সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া সমীচীন হবে না। তবে অনেকগুলো বন্ধ করব, আদালতকে জানাব, আসলে কী প্রক্রিয়ায় রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে।

নিবন্ধন পেতে দেরি হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, আবেদনের পর যাচাই-বাছাই করার জন্য আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এগুলো তদন্তকারী সংস্থাকে দেয়। সেটি শেষ করে না আসা পর্যন্ত তো আমরা নিবন্ধন দিতে পারি না। এ কারণেই সময় লাগছে।

গতকাল অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

ওই সময় রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার জারিন রহমান বলেন, যারা নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় আছে, নিবন্ধনের জন্য অনুমোদন চেয়েছে তাদের অসুবিধা নেই। কারণ তারা নিবন্ধিত হয়নি, কিন্তু নিবন্ধনের অনুমতি নিয়েছে।

তিনি বলেন, যারা নিবন্ধনের আবেদন করেছে, কিন্তু আবেদনটি বাতিল করা হয়নি, তারা নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় আছে, তাদের কথা আলাদা। আদালতের বন্ধের আদেশ নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় থাকা নিউজপোর্টালের জন্য প্রযোজ্য হবে না বলে আমি মনে করি। এখন আইন অনুযায়ী নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় থাকা নিউজ পোর্টালগুলোর বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় বিটিআরসিকে জানাতে পারেন। বিটিআরসি আদালতকে জানাতে পারেন কিংবা পোর্টালগুলো আদালতে এসে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় থাকার বিষয়টির প্রমাণ দেখাতে পারে।

ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

গণমাধ্যম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা