ছয় বছরে বিআরটিএ কর্মকর্তার ১৩ কোটি টাকা, দুদকের মামলা

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএ এর নোয়াখালী সার্কেলের সহকারী পরিচালক মো. ফারহানুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ১৩ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর ছয় বছরে ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে এ টাকা অর্জন করেছেন।

বুধবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ ফারহানুল ইসলামের বিরেুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির উপ পরিচালক মো. রফিকুজ্জামান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ৫ নভেম্বর ২০১২ তারিখ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ইউসিবিএল ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক এবং আইডিএলসিতে সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব ও ক্রেডিট কার্ড হিসাবসহ মোট ১০টি হিসাব তার মা ও ভাইয়ের নামে পরিচালনা করেন। ইউসিবিএল এবং সোনালী ব্যাংক ব্যতীত বাকি আটটি হিসাবে ঘুষ, দুর্নীতি ও অবৈধভাবে অর্জিত  ১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা লেনদেন করেন।

দুদক জানায়, বিআরটিএর সহকারী মো. ফারহানুল ইসলাম ৫ নভেম্বর ২০১২ থেকে ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ৬ বছর আট মাসে ছয়টি ব্যাংক হিসাব খুলেন। যার মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গুলশান শাখার সঞ্চয়ী হিসাবেই জমা করেন ৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। একই শাখার চলতি হিসাব ১৪ লাখ টাকা, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ভিসা ক্রেডটি কার্ড এর এর হিসাবে ১৮ লাখ টাকা ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টারর্ড ব্যাংকের মাস্টার ক্রেডিট কার্ড হিসাবে ২৮ লাখ টাকা পাওয়া যায়।

এছাড়া মো. ফারহানুল ইসলাম তার আপন ভাই মো. রায়হানুল ইসলাম এর নামে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গুলশান শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাবে এক কোটি তেরো লাখ টাকা, ডাচ বাংলা ব্যাংক বসুন্ধরা শাখার একটি সঞ্চয়ী হিসাবে ১১ লাখ টাকা লেনদেন করেন।

 

একইভাবে অভিযুক্ত মো. ফারহানুল ইসলাম তার মা লুৎফুন নাহার এর নামে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড এর মিরপুর-১০ সার্কেল শাখাযর একটি সঞ্চয়ী হিসাবে এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড এর গৃহ ঋণ হিসাবে চার কোটি আট লাখ টাকা লেনদেন করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মো. ফারহানুল ইসলাম নিজের, তার ভাই মো. রায়হানুল ইসলাম তার মা গৃহীনি লুৎফুন নাহার এর নামে মোট ৪টি ব্যাংক হিসাব এবং দুটি ক্রেডিট কার্ডের হিসাব খুলে ঘুষ, দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত মোট ১২ কোটি ৮৪ চুরাশি লাখ টাকা বিভিন্ন হিসাবে স্হানান্তর/হস্তান্তর করে আড়াল করার চেষ্টা করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও৪ (৩) ধারায় অপরাধ করেন।

ঢাকাটাইমস/১৫ সেপ্টেম্বর/এসআর/ইএস