৫ হাজার টাকায় চাঁদে জমি কিনলেন দুই বাংলাদেশি তরুণ!
চাঁদে জমি বাণিজ্যের খবর নতুন কিছু নয়। বাস্তবে চোখে না দেখলেও পশ্চিমাদের অনেকেই হুজুগে পড়ে কাড়ি কাড়ি অর্থ গচ্ছা দেন পৃথিবীর উপগ্রহটির ভূমি কিনতে। এই তালিকায় আগে কখনও বাংলাদেশি কারও নাম শোনা গেলেও এবার দেশের দুই তরুণ চাঁদে জমি কিনেছেন বলে খবর চাউর হয়েছে।
এই দুই তরুণের একজন শেখ শাকিল হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। অন্যজন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এস এম শাহিন আলম। তারা দুজনই বন্ধু। দুজনের বাড়িই সাতক্ষীরা।
চাঁদের জমির কথিত বিক্রেতা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ডেনিস হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’ থেকে তারা এক একর আয়তনের চন্দ্রভূমি মাত্র ৫৫ ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় মাত্র প্রায় পাঁচ হাজার টাকা) কিনেছেন বলে দাবি করেছেন।
শাকিল ও শাহিনের দাবি, বুধবার তারা চাঁদে কেনা সেই জমির দলিল হাতে পেয়েছেন। চাঁদের মানচিত্রেও উল্লেখ রয়েছে তাদের জমির নির্ধারিত স্থান।
জানতে চাইলে এস এম শাহিন আলম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে প্রতিবেশী দেশ ভারতের অনেক নামিদামি তারকা চাঁদে জমি কিনেছেন। চাঁদে আমাদের জমি থাকবে, এমন শখ থেকেই খোঁজখবর নিতে শুরু করি এবং সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি।’চাঁদের দেশে জমি কিনতে পেরে দারুণ খুশি শেখ শাকিল হোসেন। তিনি ঢাকা টাইমসকে জানান, ‘কল্পরাজ্যের চাঁদের দেশে এক টুকরো জমি কিনতে পেরে আমরা দারুণ উচ্ছ্বসিত। খুব সম্ভবত, আমরাই প্রথম বাংলাদেশি যারা চাঁদে জমি কিনেছি।’
এর আগে ডেনিস হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’ থেকে চাঁদে জমি কিনেছেন সাবেক তিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ, জিমি কার্টার ও রোলান্ড রিগ্যান। চাঁদে জমি কেনার জন্য মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’-ই হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় কোম্পানি। যার বাংলা অর্থ ‘চন্দ্র দূতাবাস’।
তাদের তথ্যানুযায়ী, চাঁদে জমির দাম একর প্রতি ২৪.৯৯ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৪৯৯ মার্কিন ডলার৷ বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২১২৫ টাকা থেকে ৪২৪৩৭ টাকা। জানা গেছে, জমি কেনার পর ক্রেতাকে একটি বিক্রয় চুক্তি, কেনা জমির একটি স্যাটালাইট ছবি এবং জমিটির ভৌগোলিক অবস্থান ও মৌজা-পরচার মতো আইনি নথিও পাঠিয়ে থাকে সংস্থাটি৷ এছাড়া, কেউ যদি আরো একটু ব্যয় করতে রাজি থাকে, তাহলে তাদের জন্য চাঁদের সম্পূর্ণ মানচিত্র এবং অন্যান্য তথ্যও সরবরাহ করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৫ সেপ্টেম্বর/ আরএল/ইএস)