অবৈধ সম্পদ অর্জন: শিক্ষার সাবেক প্রকৌশলী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:৩৪ | আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:১২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সাড়ে সাত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা নজরুল ইসলাম ও তার ছেলে মির্জা অনিক ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

বুধবার দুদক প্রধান কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক সচিব মু. আনোয়র হোসেন হাওলাদার। দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ পরিচালক মোনায়েম হোসন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

 

দুদক সচিব বলেন, মির্জা নজরুল ইসলাম ও তার ছেলে মির্জা অনিক ইসলাম দ্বারা অর্জিত অবৈধ আয়কে বৈধ করার উদ্দেশ্যে পারস্পরিক সহযােগিতায় স্থানান্তর/হস্তান্তর রূপান্তরের মাধ্যমে অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, ছদ্মাবরণে মাধ্যমে অপরাধলব্ধ আয় বা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সাত কোটি ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ২৫০ টাকার অবস্থান গােপন করায় মানিলন্ডারিং প্রতিরােধ আইন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে তাদের বিরুদ্ধ মামলা করা হয়েছে।

মামলার এজহার থেকে জানা যায়, অবৈধ আয়কে বৈধ করতে ছেলে মির্জা অনিক ইসলামকে ব্যবসায়ী সাজিয়ে পিতা মির্জা নজরুল ইসলাম তফসিলি চারটি ব্যাংকের সাতটি বিভিন্ন হিসাবে ২০১২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১২ মার্চ পর্যন্ত বড় অংকের অর্থ উত্তোলন ও জমা করেন। যাকে সন্দেহজনক উৎস হতে অর্জিত অপরাধলব্ধ আয় বলছে দুদক।

এজাহার বলা হয়, তারা কমিশনের দাখিলি সম্পদ বিবরণীতে দুই কোটি ৬৫ লাখ ১৬ হাজার ৮৮২ টাকার সম্পদ ঘোষণা করেন। কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাই/ অনুসন্ধানকালে আসামি মির্জা অনিক ইসলাম তার পিতা মির্জা নজরুল ইসলাম পারস্পরিক সহযোগিতায় অবশিষ্ট অপরাধলব্ধ আয় বা জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সাত কোটি ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ২৫০ টাকার অবস্থান গোপন করেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।

ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/এসআর/ইএস