যেসব চরিত্রের পুরুষ নারীদের কাছে আকর্ষণীয়

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:০৭

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

নারীর মন বোঝা এত সহজ নয়। নারী মানেই বৈচিত্র্য। টল-ডার্ক-হ্যান্ডসাম। এই তিন গুণের অধিকারী হলেই যে কোনও নারীর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারেন। এমন ধারণা অনেক পুরুষেরই রয়েছে। তবে পুরুষদের অন্য কয়েকটি বিষয়ই নারীদের বেশি আকর্ষণ করে। তাহলে অবশ্যই জেনে রাখুন কীভাবে কোনও নারীর মন জয় করা যাবে। গার্লফ্রেন্ড থাকলে বা সংসারি হলেও জেনে নিন কীভাবে সঙ্গীকে সন্তুষ্ট রাখতে হবে।

 

নারীর পেশাকে সম্মান করুন

 

নারীরা পরনির্ভরতায় বিশ্বাসী নন। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বাধীনভাবেই বাঁচতে ভালবাসেন। তাই পড়াশোনা, খেলাধুলো বা মডেলিং করে মনের মতো পেশাটি বেছে নন। প্রতিযোগিতার বাজারে একটি চাকরি পেতে কিংবা ব্যবসা করতে যথাসম্ভব পরিশ্রমও করেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই তারা আশা করেন সঙ্গীটি তার পেশার প্রশংসাই করবেন। তার সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনাও করবেন। কর্মক্ষেত্রে কীভাবে আরও উন্নতি করা যাবে, সে বিষয়ে পরামর্শ দেবেন।

 

পোশাক নিয়ে কোনও মন্তব্য নয়

 

সঙ্গীকে নিজের পছন্দের মতো পোশাক পরতে দিন। যদি সেই পোশাকের প্রশংসা করতে পারেন তাহলে খুবই ভাল। নারীরা মনে করেন, তারা যখন পুরুষের পোশাকে নাক গলান না, তখন উলটো দিক থেকে তেমনটাই আশা করেন তারাও।

 

আবেগপ্রবণ হতে দ্বিধা করবেন না

 

স্পর্শকাতর এমন কোনও বিষয়, যা হয়তো আলোচনা করতে গিয়ে আপনার চোখে পানি চলে আসতে পারে। আসলে আসুক। লজ্জা পাবেন না, প্রিয়জনের থেকে তো কিছু লুকোনোর নেই। তাই আপনি যদি ুসঙ্গীর সঙ্গে মন খুলে কথা বলেন আর তাতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন, তাতে খুশিই হন মহিলারা।

 

অতীত ঘাঁটবেন না

 

সঙ্গীর অতীত নিয়ে অযথা পানি ঘোলা করলে সম্পর্কে বোঝাপড়ার অভাব হতে পারে। তাই যা হয়ে গিয়েছে, তা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। আগামী দিনগুলো কীভাবে সুন্দর করা যায়, তা ভাবুন।

 

জোর করবেন না

 

নারীরা যে কাজটি করতে ইতস্তত বোধ করেন, তা নিয়ে জোর করবেন না। বিশেষ করে যৌনজীবনের ক্ষেত্রে। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করতে কে-ই বা ভালবাসে!

 

অকারণ সন্দেহ

 

কর্মক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিটি কে? কিংবা ওই বন্ধুর সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠতা কেন? এসব প্রশ্ন করে নিজের মনকে অকারণ উত্তেজিত করে তোলার মানেই হয় না। অকারণ সন্দেহ বা রাগ করা কোনও নারীও পছন্দ করেন না। পরস্পরের প্রতি ভালবাসা আর বিশ্বাসটাই প্রয়োজন।

 

সঙ্গীর পরামর্শও নিন

 

পারিবারিক ক্ষেত্রে কোনও বিষয়ে সমস্যায় পড়লে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করুন। তার মতামত শুনুন। পরামর্শ নিন। তারপর নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। এতে নারীকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়।

 

অন্যকে সম্মান

 

হোটেলে খেতে গিয়ে ওয়েটারকে সিটি বাজিয়ে ডাকার অভ্যেস অনেক পুরুষেরই আছে। কিন্তু সাধারণত নারীদের তা অপছন্দ। তার প্রিয় পুরুষ সমাজের প্রত্যেকটি সাধারণ মানুষকে সম্মান দিয়েই যেন কথা বলেন, এমনটাই চান নারীরা।

 

মিথ্যে বলবেন না

 

একটা কথা চাপার জন্য আর পাঁচটা মিথ্যে কথা বলা কখনওই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তাই সত্যি কথাটা সবার আগে আপনার মুখ থেকেই শুনতে চান আপনার স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ড। এতে সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস বাড়ে।

 

(ঢাকাটাইমস/১৬ সেপ্টেম্বর/আরজেড/এজেড)