র্যাব সদরদপ্তরে রাসেল দম্পতি, শুক্রবার গুলশান থানায় হস্তান্তর
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে র্যাব সদরদপ্তরে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শুক্রবার তাদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব সূত্র।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে তাদের নিয়ে সদরদপ্তরে প্রবেশ করে র্যাবের গাড়ি বহর।
এর আগে আজ বিকাল সাড়ে চারটার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ৫/৫ এ স্যার সৈয়দ রোডের নিলয় টাওয়ার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাবের একটি দল। এ ব্যাপারে পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফিং করা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ঢাকাটাইমসকে বলেন, গ্রাহকের করা প্রতারণা মামলায় রাসেল দম্পতিকে সদরদপ্তর আনা হয়েছে। এখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হবে।
বৃহস্পতিবার ভোরে আরিফ বাকের নামে এক ব্যক্তি ইভ্যালির অনলাইন প্লাটফর্মে তিন লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকার পণ্য অর্ডার করেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা পাননি উল্লেখ করে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেন। যেখানে ইভ্যালির আরও বেশ কজন কর্মকর্তাকে ‘অজ্ঞাতনামা’ দেখিয়ে আসামি করা হয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আরার আদালতে ইভ্যালির বিরুদ্ধে আরেকটি প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন একজন গ্রাহক। মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নাম উল্লেখ করা হয়। সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার বাসিন্দা মো. রাজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
বহুল আলোচিত-সমালোচিত এই প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে দেনার পরিমাণ ৪০৩ কোটি টাকা। আর ইভ্যালির চলতি সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৬৫ কোটি টাকা। ৩৩৮ কোটি টাকাই কোম্পানির কাছে নেই।
ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/এসএস/ইএস