শিশু-নারী পাচারচক্রের হোতা মহিলা গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২৩:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর শ্যামপুর এলাকা থেকে শিশু ও নারী পাচারকারী চক্রে জড়িত এক নারীকে আটক করেছে র‌্যাব-১০। আটককৃতের নাম নাজমা সুলতানা ওরফে হাসনাহেনা। তিনি এ চক্রের মূলহোতা বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

এ সময় তার কাছ থেকে পাঁচটি পাসপোর্ট, ১৫০ কপি পাসপোর্টের ফটোকপি, তিনটি আকামা (দুইটি কাতার ও একটি মালোয়েশিয়া), ১৫টি ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড ১১টি বিএমইটি কার্ড যার মধ্যে (১০টি নকল), ১৫টি জন্ম সনদ, একটি জাতীয় পরিচয়পত্র ও দুইটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকালে র‌্যাব-১০ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে র‌্যাব-১০ এর একটি দল রাজধানীর শ্যামপুর থানার ধোলাইপার যুক্তিবাদি গলি এলাকায় একটি অভিযান চালায়। অভিযানে নাজমা সুলতানা ওরফে হাসনাহেনাকে আটক করা হয়।

র‌্যাব জানায়, বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে পাচার হওয়ার এক নারী মারাত্মক নির্যাতনের শিকার হওয়ার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। এরপর র‌্যাব-১০ এর একটি দল অনুসন্ধান ও খোঁজখবর করার পর প্রচারিত সংবাদটির সত্যতা খুঁজে পায়। পরে শ্যামপুরের ধোলাইপার থেকে নাজমা সুলতানাকে আটক করে।

আটক নাজমা সুলতানা ওরফে হাসনাহেনা ২০ বছরের এক নারীকে গৃহকর্মীর কাজের জন্য গত ১৫ জুলাই মধ্যপ্রাচ্যে পাঠান। সেখানে কাজ করা অবস্থায় ওই ভুক্তভোগী নারীর পায়ে, পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গরম ইস্ত্রি (আয়রন মেশিন) দিয়ে ছেকা দিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। গরম ইস্ত্রির (আয়রন মেশিন) ছেকায় ভুক্তভোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গতকাল বুধবার বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তিনি অসুস্থ অবস্থায় মিডফোর্ড স্যার সলিমুল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

আটক নাজমা সুলতানার বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, তিনি পেশাদার নারী ও শিশু পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ও তার স্বামী মো. নাজমুল পরস্পর যোগসাজসে সংঘবদ্ধভাবে পতিতাবৃত্তি ও যৌন কাজে নিয়োজিত করার জন্য  বিভিন্ন বয়সের নারী ও শিশুদের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গৃহকর্মীর নামে পাচার করে আসছিলেন। নাজমা এবং তার স্বামী নাজমুল বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন বয়সের মেয়েদের ৭০-৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন দেশে বিক্রি করতেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন দেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। পাচারকৃত নারীরা সেখানে গিয়ে বিভিন্নভাবে যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিলেন বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে শ্যামপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৬ সেপ্টেম্বর/এএ/ইএস