লক্ষ্য অর্জনে আরও কিছু মাস সময় প্রয়োজন ছিল: ইভ্যালি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:০৬

বিনিয়োগ ঘাটতি ও গ্রাহকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের জন্য আরও কিছু মাস সময় প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছে দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি।

নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ‘বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ও ই-কমার্সকে সাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে কিছুটা আর্থিক ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের আরও কিছু মাস প্রয়োজন ছিল।’

এদিকে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির সিইও মো. রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়্যারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেফতারের পর ইভ্যালির ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা স্ত্রীসহ গ্রেফতারের পর তারা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারবে কি না তা নিয়ে চলছে আলোচনা। এরই মধ্যে ইভ্যালির এমন বক্তব্য এলো।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়্যারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

এর আগে বুধবার রাতে আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক ইভ্যালির এমডি রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা করেন।

ওই মামলায় লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে অভিযোগকারী আরিফ বাকের ও তার বন্ধুরা চলতি বছরের মে ও জুন মাসে কিছু পণ্য অর্ডার করেন। পণ্যের অর্ডার বাবদ বিকাশ, নগদ ও সিটি ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে পুরোপুরি অর্থ পরিশোধ করা হয়। পণ্যগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে ডেলিভারি ও নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সরবরাহে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠান সমপরিমাণ টাকা ফেরত দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে পণ্যগুলো ডেলিভারি না পাওয়ায় বহুবার ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধিকে ফোন করা হয়। সবশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর যোগাযোগের মাধ্যমে অর্ডার করা পণ্যগুলো পাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তারা।

এতে আরও বলা হয়, একপর‍্যায়ে ইভ্যালি পণ্য প্রদান ও টাকা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ার পর ৯ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে যান। এসময় এমডি রাসেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। একপর‍্যায়ে অফিসের ভেতরে অবস্থান করা রাসেল উত্তেজিত হয়ে তার রুম থেকে বেরিয়ে এসে তাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন এবং পণ্য অথবা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ভয়-ভীতি ও হুমকিসহ তাদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করা হয়। এতে তারা চরম আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দিনযাপন করছেন এবং পণ্য বুঝে না পাওয়ায় আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

মামলার এজাহারে রাসেল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনটি ধারায় অপরাধের কথা বলা হয়েছে। ফৌজদারি দণ্ডবিধির ধারাগুলো হচ্ছে- ৪২০, ৫০৬ ও ৪০৬।

অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে ওঠা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই নানা অনিয়মের অভিযোগ ছিল। গত ২৫ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও এমডির সব ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এরপর গত ১৪ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে এক সভায় ইভ্যালির বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত কমিটি। এরই ধারাবাহিকতায় ইভ্যালির প্রধান দুই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/কেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে জনতা ব্যাংকের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

ঈদ উৎসব মাতাতে ‘ঢেউ’য়ের ওয়েস্টার্ন সংগ্রহ

৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

সিটি ব্যাংকের ২০২৩ সালের মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা, বেড়েছে ৩৩%

ঈদ অফারে বিনামূল্যে মিনিস্টারের রেফ্রিজারেটর পেলেন আসাদুজ্জামান সুমন

সোনালী ব্যাংকে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভা

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৭টি নতুন উপশাখার উদ্বোধন

স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শ্রদ্ধা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্মসংস্থান ব্যাংকের শ্রদ্ধা

স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :