মহাবীর ঈশা খাঁ’র ৪২২তম মৃত্যুবার্ষিকী
বাংলার মহাবীর বার ভূইঁয়ার অন্যতম মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁ’র ৪২২ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৫৯৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আজকের এই দিনে বৃহত্তর ভাটিরাজ্যের অধিপতি মসনদ-ই- আলা ঈশা খান গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুরে মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
সাংবাদিক ও লেখক আমিনুল হক সাদীর ‘ভাটিরাজ্যের অধিপতি মহাবীর ঈশা খাঁ ইতিহাসে উপেক্ষিত’ প্রবন্ধে লিখেছেন, ১৫৩৬ মতান্তরে ১৫৩৭ সালের ১৮ অক্টোবর মতান্তরে ২৫ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে জন্ম গ্রহণ করেন এই মহাবীর। তিনি প্রথমে সরাইলে পরবর্তীতে সোনারগাঁওয়ে রাজধানী স্থাপন করে পুর্ব বাংলার শাসক ছিলেন।
পরবর্তীতে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার জঙ্গলবাড়িতে বৃহত্তর ভাটি রাজ্যের রাজধানী স্থাপন করেন। ৬২ বছরের মধ্যে ৩৬ বছর মোঘলদের সঙ্গে অবিরাম যুদ্ধ করেন।
১৫৯৯ খিস্ট্রাব্দের দিকে ঈশা খাঁ কিছুদিনের বিশ্রামের জন্য সোনারগাঁও থেকে মহেশ্বরদী পরগণা বর্তমান গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের বক্তারপুর দুর্গের প্রাসাদভাটিতে গমণ করেন। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে শারিরিকভাবে খুবই দুর্বল হয়ে যান। রাজকীয় চিকিৎসায় অবিরাম চেষ্টা করেও তাকে সুস্থ করে তুলতে ব্যর্থ হন। এই অবস্থায় ১৫৯৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহত্তর ভাটিরাজ্যের অধিপতি মসনদ-ই- আলা ঈশা খান গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুরে মৃত্যুবরণ করেন এবং সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়।
কিশোরগঞ্জ আরকিওলজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি আমিনুল হক সাদী বলেন, এই মহাবীরের স্মৃতিবিজড়িত অনেক স্থান ও দুর্গ আজ ইতিহাসে উপেক্ষিত। তবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মহাবীর ঈশা খাঁ’র স্মৃতি বিজড়িত জঙ্গলবাড়িটিকে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণ করে একটি জাদুঘরে রুপান্তর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে জমি অধিগ্রহণের জন্য ২১ কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছে।
ঈশা খাঁ’র বংশধর দেওয়ান জামাল দাদ খান জানান, করোনার কারণে ঈশা খাঁ’র ৪২২ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এবারে আলোচনা সভা হচ্ছে না। তবে ঈশা খাঁ’র স্মৃতি বিজড়িত জঙ্গলবাড়ি শাহী মসজিদে দোয়া করা হবে বলে জানিয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/পিএল)