চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:১৯

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চুরি ঠেকাতে পালাক্রমে পাহারার ব্যবস্থা করেছে মাদারীপুরের কালকিনির পৌরসভার বেশ কয়েকটি এলাকায়। কিছুদিন ধরে চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অভিনব পন্থা বেঁছে নিয়েছে তারা। এসময় লাঠি-সোঠা হাতে নিয়ে গ্রামের প্রতিটি বাড়ি-বাড়ি ঘুরে মানুষকে নিরাপদে রাখতে নিজেদের উদ্যোগে এ ব্যবস্থা করছেন বলে দাবি করেছেন উদ্যোক্তারা।

ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানায়, সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে কালকিনি পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইউনুস আলী হাওলাদারের কলেজের সামনে খালি বাসার তালা ভেঙে দিন-দুপুরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় চোরেরা। এ মাসেই আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনির বেপারীর বাড়ি থেকে দুইটি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ, একটি আংটি, চেইন ও কিছু নগদ টাকা নিয়ে যায় চোরেরা। একই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিদ ভূঁইয়ার একটি গরু, কাশিমপুর গ্রামের লাল মিয়া বেপারীর একটি গরু, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মীরজাহান আমিনের নিজ গ্রাম কাষ্টগড় থেকে তিনটি ছাগল, লক্ষ্মিপুর-পখিরা গ্রাম থেকে একটি ভ্যান, কানাইপুর গ্রামের কামরুল হোসেনের ঘরে সিঁদ কেটে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায় চোরেরা।

পাহারা ব্যবস্থার উদ্যোক্তা ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান সুরুজ বলেন, ‘এভাবে একের পর এক পৌর এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে চুরির হিড়িক পড়ায় আমরা শঙ্কিত। এসব চুরির ঘটনা নিয়ে থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাই আমরা এলাকাবাসী মিলে রাতে পাহারার ব্যবস্থা করেছি। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা পাহারার ব্যবস্থা করেছি। চুরি না কমানো পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে।’

এ ব্যাপারে ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইউনুস আলী বলেন, ‘আগে দেখতাম শুধু রাতের বেলায় চুরি হতো। আর এখন দিনের বেলায়ও চুরি শুরু হয়েছে। আমাদের সব সময় চোরের আতঙ্কে থাকতে হয়। তাই এলাকার সাধারণ মানুষ নিয়ে রাতে পালাক্রমে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে চোরের দলেরা তাদের কাজ হাসিল করতে না পারে।’

কালকিনি পৌর এলাকার ছত্তার, সোহেল ও রিয়াদ বলেন, ‘রাত হলে আমাদের এলাকার গরু, ছাগল, হাস-মুরগিসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায় চোরেরা। তাই আমরা এলাকার চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি। সব সময় আমাদের চোর আতঙ্কে থাকতে হয়। প্রায় প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিৎকার দিচ্ছি। যাতে কোন চোর আসতে না পারে।’

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, ‘রাত জেগে এলাকাবাসী চোর পাহারা বসিয়েছে বিষয়টি জেনেছি। এটা জনস্বার্থের কাজ। সচেতন মহল সোচ্ছার থাকলে আমাদের পুলিশের সুবিধা হয়। সবার সহযোগিতা থাকলে সুন্দর সমাজ গড়া সম্ভব। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের সহযোগিতা করব।’

(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/এলএ)