আত্রাইয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রাম হচ্ছে গুড়নই। আত্রাই নদীর তীরে এই গ্রামে প্রায় ২০০ বছর যাবত প্রাথমিক শিক্ষায় জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে আসছে গুড়নই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।

উপজেলার ৩০নং গুড়নই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চার কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে স্থাপিত হয়ে সরকারিভাবে আনুমানিক ১৯৫০ সালে একটি ভবন নির্মিত হয় এ বিদ্যালয়ে। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় সিমেন্টের টেম্পার কমে গিয়ে প্রতিনিয়ত ছাদের পলেস্তা এবং দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে। এতে যে কোন সময় বড় রকম দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, আত্রাই উপজেলার গুড়নই গ্রামে গোড় নদী সংলগ্ন ১৮৬০ সালে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। আনুমানিক ১৯৫০ সালে চার কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মিত হয় এখানে। এরপর তিন কক্ষের একতলা দুটি ভবন নির্মিত হয়। বিদ্যালয়ে সাতটি কক্ষের মধ্যে চারটি কক্ষে ছাদের পলেস্তা প্রতিনিয়ত খসে পড়ছে। এছাড়া গত বছর বন্যায় বিদ্যালয়ের তিনটি গাছ নদীতে বিলীন হয়ে মূল ভবনের সাথে নদী এসে লেগে গেছে। দ্রুত নদীভাঙন রোধের পদক্ষেপ না নিলে ভবনটি নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে এলাকার লোকজন মনে করেন।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জহুরুল ইসলাম বলেন, অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দিয়ে বিদ্যালয়ের পাঠদান ও অন্যান্য কার্যক্রম চলে আসছে। বিদ্যালয়ের পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে নতুন করে ভবন নির্মাণ করা না হলে এই অঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষার পরিবেশ একেবারেই ভেঙে পড়বে। এছাড়া নদী ভাঙন তো রয়েছেই।

প্রধান শিক্ষক নূর জাহান খাতুন বলেন, জরাজীর্ণ ঘরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। কেননা মোট সাতটি ঘরের মধ্যে চারটি ঘরের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। আবার বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের ফলে প্রধান ভবনটি নদীগর্ভে বিলীনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণ এবং নদীগর্ভে বিলীনের হাত থেকে রক্ষার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

উপজেলা প্রকৌশলী পারভেজ নেওয়াজ খান বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও বিদ্যালয়ে সংস্কার মেরামত এবং আধুনিক ভবন নির্মাণ কার্যক্রম চলমান আছে। আগামীতে অগ্রাধিকারেরভিত্তিতে এ বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণ কার্যক্রম করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/এলএ)