‘ঢাকায় অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার করে কেউ পার পাবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:২৩

একটা সময় রাজধানীতে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার প্রায়ই দেখা যেত। এখন আর সেই সময় নেই। ঢাকার কোনো এলাকায় অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার বা প্রদর্শন করে কেউ পার পাবে না বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন। ১৫ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে রেমন্ড টেইলার্সের সামনে ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দুজনকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তারের তথ্য জানান তিনি।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার বরুড়ার আমড়াতলী এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন, মনিরুজ্জামান সুমন ও মো. ইমন। তাদের দেওয়া তথ্য মতে, রাজধানীর খিলগাঁও থানার ত্রিমোহনী এলাকা থেকে দুটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে।

এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ভিকটিম সাইফুল ইসলাম, কচি, রিপন ও সুমন ছোটবেলার বন্ধু ছিলেন। সাইফুল ২ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। রিপন ও সুমন দলীয় পর্যায়ে পদ-পদবি না পাওয়ায় তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। এরপর তারা পৃথক গ্রুপ তৈরি করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে সুমন ও রিপন গ্রুপ একত্রিত হয়ে ভিকটিম সাইফুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

হাফিজ আক্তার বলেন, রিপন গ্রুপের সদস্য বাশার হত্যা মামলার ১ নম্বর অভিযুক্ত ছিলেন ভিকটিম সাইফুল। ওই মামলায় সাইফুল দীর্ঘদিন জেলে থাকার কারণে সুমন গ্রুপ এলাকায় একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করতে থাকে।

সাইফুল জেল থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর সুমন গ্রুপ ও রিপন গ্রুপ এলাকায় তাদের আধিপত্য বিস্তার হ্রাস পাওয়ার ভয়ে দুই গ্রুপ একত্রিত হয়ে ভিকটিম সাইফুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, গত ১৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে রেমন্ড টেইলার্সের সামনে রাস্তায় পূর্ব পরিকল্পনার অনুযায়ী রিপন, কচি, সুমন ও ইমনসহ ১২ থেকে ১৩ জন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় সাইফুলকে রিপন দুই রাউন্ড ও সুমন এক রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় নয়জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন সাইফুলের স্ত্রী। এর মধ্যে মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে কচি, রাসেল তালুকদার ওরফে চাপাতি রাসেল, উজ্জ্বল তালুকদার ও আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পলাতক রিপনসহ অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেপ্তর অভিযান অব্যাহত আছে। অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় অস্ত্র আইনে পৃথক একটি মামলা হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীতে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির এ গোয়েন্দা প্রধান বলেন, ডিএমপির পরিবেশ এখন শান্ত। যদিও আগে প্রায়ই অস্ত্রের মহড়া দেখা যেত, বোমাবাজির নানা খবর পাওয়া যেত। গত চার মাস মাসে রাজধানীতে যেখানেই অস্ত্রের মহড়া, বোমাবাজি হয়েছে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অস্ত্র-গুলি জব্দ করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/এআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :