‘প্রতারক’ সাধুবাবা গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:৩০ | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:৫৭

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মানিকগঞ্জ সদরের আন্ধারমানিক এলাকায় একই পরিবারের ছয় সদস্যকে অলৌকিক প্রসাদ খাইয়ে অচেতন করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল চুরি করেন এক প্রতারক সাধুবাবা। এ ঘটনায় শনিবার সেই প্রতারক সাধুবাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার সাধুবাবা ওরফে বাচ্চু প্রধান (৭৩)-কে চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার নারায়ণপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ভাস্কর সাহা নিশ্চিত করে জানান, সাধুবাবা ওরফে বাচ্চু প্রধান একজন পেশাদার প্রতারক। তিনি গত শনিবার মানিকগঞ্জ সদরের আন্ধারমানিক এলাকায় পঙ্কজ কুমার মন্ডলের বাড়িতে যেয়ে নিজেকে বারদি থেকে আগত সন্ন্যাসী হিসেবে পরিচয় দিয়ে আশ্রয় চান।

তিনি আরো বলেন, তারপর সেই বাড়িতে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর তার হাতে মাখানো স্যাকারিন মিশ্রিত মাটি খেতে দেয়। ফুঁ দিয়ে কাগজে আগুন ধরিয়ে ওই পরিবারের সকলকে চমকে দিয়ে তাদের আস্থা অর্জন করে দুই রাত সেই বাড়িতে অবস্থান করেন তিনি। একসময় সুযোগমত সাধুবাবা ঘুমের ওষুধ মিশ্রিত অলৌকিক প্রসাদ খাইয়ে একই পরিবারের ছয় সদস্যকে অচেতন করে তাদের টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন চুরি করে পালিয়ে যায়।

পরদিন প্রতিবেশীরা তাদের অচেতন অবস্থা দেখে স্থানীয় কাউন্সিলর আবু মোহাম্মদ নাহিদকে খবর দেয়। পরে পুলিশকে অবহিত করলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাউন্সিলর ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় মুমূর্ষু ব্যক্তিদের সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুই/তিনদিন পর তাদের জ্ঞান ফিরলে সকলের অচেতন হয়ে থাকার প্রকৃত কারণ জানা যায়। এই ঘটনায় পঙ্কজ কুমার মন্ডল বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকবর আলী খান জানান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান স্যারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ভাস্কর সাহা স্যারের নেতৃত্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাচ্চু প্রধান (৭৩)-কে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শনাক্ত করা হয়। পরে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই টুটুল উদ্দিন ও এসআই মনিরুজ্জামান প্রতারক সাধুবাবাকে চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার নারায়ণপুর এলাকা গ্রেপ্তার করে।

তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার বাচ্চু প্রধান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তার হেফাজতে থাকা লুন্ঠিত মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। মামলার বাদী ও অন্যান্য ভিকটিম বাচ্চু প্রধানই যে সেই প্রতারক সাধুবাবা সেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/এলএ)