বসতভিটা বিক্রি না করায় বীর মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:৪০

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

লক্ষ্মীপুরে বসতবাড়ি বিক্রির প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চৌধুরী মিয়া নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি গুলি করে প্রাণে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবার জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার আমানী লক্ষ্মীপুর এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা।

এর আগে শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের আমানী লক্ষ্মীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মিয়া বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, আমানী লক্ষ্মীপুর গ্রামের দেওয়ানজী বাড়ির বীরমুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মিয়ার প্রতিবেশীদের সাথে বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এ ব্যাপারে চৌধুরী মিয়ার ভাতিজা মনিরের একটি অভিযোগে পুলিশ সার্ভেয়ার দিয়ে জমির পরিমাপ করে বিরোধ নিষ্পত্তি করে দেন। বিরোধ নিষ্পত্তির এক পর্যায়ে পাশের পাটওয়ারী বাড়ির চৌধুরী মিয়ার পুত্র বিত্তশালী আজাদ উদ্দিন বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মিয়াকে তার বসতভিটাসহ বাড়ির সমুদয় জমি তার কাছে বিক্রির প্রস্তাব দেয়। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় শনিবার দুপুরে আজাদ তার অনুগতদের নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা করে। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে সপরিবারে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।

এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার সকালে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী গ্রামের রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

এতে ব্ক্তব্য দেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরনবী পাটওয়ারী, আবুল হোসেন, আবুল খায়ের, জালাল আহাম্মদ, সফি উল্যাহ, হারুনুর রশিদ প্রমুখ।

হামলার স্বীকার বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মিয়া জানান, সম্প্রতি সরকার ১১ লাখ টাকা ব্যয় করে তাকে একটি ঘর করে দিয়েছেন। সম্প্রতি কিছু জমি ও বসতভিটা বিক্রি করার জন্য চাপ দেয় প্রতিবেশী আজাদ উদ্দিন। জমি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় আজাদ উদ্দিনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা চালায়। এসময় গুলি করে পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকিও দেয় আজাদ। এ ঘটনার পর পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন।

এ ব্যাপারে আজাদ উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি একেএম ফজলুল হক জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মিয়ার পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সত্য প্রমাণিত হলে জড়িত কেউ ছাড় পাবে না।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/এলএ)