জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:১১

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচিত সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার বিরুদ্ধে শহীদ মিনার অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে অনেকে ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন।

সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হবার পর রবিবার প্রথমবারের মতো নিজ জেলা কুড়িগ্রামের এসে শহীদ মিনারে নেতা-কর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। এ সময় কুড়িগ্রাম জেলা শহরের ঘোষপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুতা পায়ে ওঠার ছবি প্রকাশ হওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে।

ফেসবুকে নানা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অনেকে। ‘বিন ইয়ামিন মোল্লা’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে দেয়া পোস্টে দেখা যায়, শহীদ মিনারে জুতা পায়ে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বিন ইয়ামিন। এ দৃশ্য দেখে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রুহুল আমিন দুলাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ ধরনের অপরাধ অমার্জনীয়। দেশের প্রতি ভালবাসা, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকলে এমনই হয়।

দুলাল বলেন, ‘যাদের ভিতর দেশ প্রেম নেই তারা কীভাবে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

রবিবার সকালে বিন ইয়ামিন মোল্লা নাগেশ্বরীর নেওয়াশিতে তার নিজ এলাকায় একটি সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পথে কুড়িগ্রাম ঘোষপাড়ায় আগে থেকে অবস্থানরত নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। এসময় জুতা পায়ে নেতাকর্মীসহ শহীদ মিনারে উঠে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ইয়ামিন। 

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাকিবুজ্জামান রাকিব বলেন, ‘বিন ইয়ামিন ছাত্রদের নেতৃত্ব দিতে চান। কিন্তু ছাত্রদের বুকের রক্তে আঁকা শহীদ মিনার কী করে পদদলিত করলেন?’

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বিন ইয়ামিন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে শহীদ মিনার অবমাননার অভিযোগে আইনিব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘বিন ইয়ামিনদের শহীদ মিনারের অবমাননা পরিকল্পিত। ভাষা শহীদদের এভাবে অবজ্ঞা মেনে নেয়া যায় না।’

একই দাবি জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা ক্রীড়াসংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাঈদ হাসান লোবান বলেন, ‘শহীদ মিনার আমাদের ভাষা সংগ্রাম ও চেতনার প্রতীক। এই শহীদ মিনার অবমানননা মানে জাতিকে অপমান করা। এদেরকে চিহিৃত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।’

অভিযোগের বিষয়ে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘শহীদ মিনারের বেদি বা সিঁড়িতে আমরা জুতা পায়ে উঠিনি। মূল মঞ্চে উঠেছি। ঢাকা শহীদ মিনারের মঞ্চেও অনেকে জুতা পায়ে ওঠে। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।’

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/কেএম)