পাবনায় চেয়ারম্যানের বাড়িতে গুলি-বোমা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:৪৯

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, পাবনা

পাবনায় এক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ও হাতবোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। গেল শনিবার গভীররাতে আমিনপুর থানার পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এএম রফিকউল্লাহর বসতবাড়ি রঘুনাথপুরে গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদের চেয়ারম্যান সমর্থকরা রবিবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের কাশিনাথপুর মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। এ সময় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় বিক্ষোভকারীরা। পরে বেলা ১টার দিকে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।

তবে নগড়বাড়ি ঘাট এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও চেয়ারম্যান সমর্থকেরা বিক্ষোভ ও মানবন্ধন করায় বেলা ১টা পর্যন্ত আমদানি রপ্তানিসহ ঘাটের সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এএম রফিকউল্লাহ জানান, গেল শনিবার রাত ৩টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত তার বসতবাড়ি লক্ষ্য করে ১১টি ককটেল নিক্ষেপ করে। এ সময় তিনটি শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

রফিকউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজুর সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে তার বিরোধ চলছে। শুক্রবার স্থানীয় একটি বাড়িতে দাওয়াতের অনুষ্ঠানে তাকে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন সাবেক এমপি আরজু। এ ঘটনায় আমিনপুর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। জিডি করার কারণে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। আপনাদের কাছে প্রথম জানতে পারলাম।

আরজু বলেন, ‘সামনে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল। আমাকে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে দলের মধ্যেই প্রতিপক্ষের সমর্থকেরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।’

এ বিষয়ে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের শান্ত রাখতে কাজ করছে। বিক্ষোভকারীদের মহাসড়ক থেকে সরিযে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ঘাট এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ওসি বলেন, ‘এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ কাজ করছে। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/কেএম)