‘পিঠ বাঁচাতে নুসরাত আমার দিকে আঙুল তুলছে’

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:১৩

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

টলিউড নায়িকা নুসরাত জাহানের সাবেক ‘সহবাস সঙ্গী’ ব্যবসায়ী নিখিল জৈন। নিখিল নিজেকে ‘আম আদমি’ মনে করলেও নুসরাতকে বিয়ের সুবাদে তার সেই স্ট্যাটাসটা বদলে গেছে দুই বছর আগেই। জনপ্রিয়তার বিচারে এখন তিনি টেক্কা দেবেন যেকোনো টলিউড তারকাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিখিলের ফলোয়ার সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তার নামে খোলা হয়েছে ফ্যানক্লাব।

সবকিছুর শুরুটা নুসরাত আর নিখিলের সম্পর্ককে ঘিরে। ২০১৯ সালের ১৯ জুন তুরস্কে গিয়ে ধুমধাম করে তারা বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভেঙে যায় সম্পর্ক। তারা একে অন্যের থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন। প্রতিদিনই নুসরাতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনো না কোনো নতুন চর্চা উঠে এসেছে। সেই সব আলোচনা ও বিতর্কের অংশ থেকেছেন নিখিল জৈন।

জুন মাসে নুসরাতের বিষ্ফোরক ‘সহবাস’ বিবৃতি, নায়িকার অন্তঃসত্ত্বা হওয়া এবং গত মাসে ঈশানের জন্ম ও কলকাতা পুরসভার রেকর্ডে ঈশানের বাবা হিসাবে যশ দাশগুপ্তের নামের উল্লেখ থাকার মতো ঘটনাবহুল বিষয় ঘটে গেছে। তবুও যেন থামছে না বিতর্ক। এর মাঝে নতুন করে সংবাদ শিরোনামে নুসরাত-নিখিলের ভাঙা সম্পর্ক। নিখিলের পুরুষ মানুষের প্রতি দুর্বলতা আছে বলে অভিযোগ নুসরাতের। তাতে বিরক্ত নিখিল জৈন।

কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘ক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে কিছু দায়িত্ব থাকাও উচিত। আমি অনুরোধ করছি, যাতে বাড়ির বড়রা নুসরাতকে বলে দেয়, নিজের ভাষার উপর একটু নিয়ন্ত্রণ আনতে। নিজের পিঠ বাঁচাতে এবং মানুষের সামনে নিজেকে সঠিক প্রমাণ করতে ও আমার দিকে আঙুল তুলছে। ভুয়ো ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। বারবার ও মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। নুসরাতকে ভুলে গেলে চলবে না যে, সে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।

এখানেই থেমে থাকেননি নিখিল। তিনি বলেন, নুসরাত নিজের মুখ লুকাতে চেষ্টা করছে। কারণ মাথার সিঁদুর এবং ওর সন্তানের জন্য ওকে অনেক ট্রোলড হতে হয়েছে। এখন আমার উপর ভুলভাবে আঙুল তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। নুসরাত তার সেই সঙ্গীর উপরই ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ করছে, যাকে সে একদিন বিয়ে করেছিল।

২০১৮ সাল থেকেই এক বস্ত্র বিপনি সংস্থার কর্ণধার নিখিল জৈনের সঙ্গে নুসরাত জাহানের ঘনিষ্ঠতার খবর চাউর হয়েছিল টলিউডে। মাস কয়েক যেতে না যেতেই রাজনীতির আঙিনায় উত্থান হয় এই টলিউড সুন্দরীর। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি। ফল ঘোষণার কয়েক দিনের মধ্যেই নিখিলের সঙ্গে নিজের সম্পর্কে সিলমোহর দিয়েছিলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ। পরের মাসেই, ১৯ জুন তুরস্কের বোদরুমে বিয়ের পর্ব সারেন নুসরাত-নিখিল।

সেই বিয়ের প্রতিটা ছবি ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পার্লামেন্টে শপথ নেওয়ার সময় নিজের নামের সঙ্গে নিখিলের পদবি জুড়ে নিয়েছিলেন নুসরাত। তাদের ভালোবাসায়মাখা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিমেষে ভাইরাল হতো। তবে মাসখানেক যেতে না যেতেই সুখের সংসারে ভাঙন ধরে। চলতি বছরের একদম শুরুতে নুসরাত-নিখিলের আলাদা থাকার কথা এবং যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নুসরাতের অন্তরঙ্গতার কথা প্রকাশ্যে চলে আসে।

সেই সময় রাজস্থানে ছুটি কাটাচ্ছিলেন যশ-নুসরাত। পরের কয়েকটা মাস প্রত্যেক দিন নুসরাত-নিখিলের সম্পর্ক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলেছে কাঁটাছেঁড়া। ওই একটা সাক্ষাৎকারে নুসরাত জানিয়েছিলেন, ‘যে সম্পর্কে আমি নেই, তা নিয়ে কিছু বলতেও চাই না। রিলেশনশিপ ওয়ার্ক না করলে বেরিয়ে আসতে হয়।’

কিন্তু নিখিলের সঙ্গে বিয়েকে নুসরাত ‘সহবাস’ বলেছিলেন কেন? এমন প্রশ্নে তারকা সাংসদ সাফাই দেন, নিখিল আমাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিল, সেখানে সহবাসের কথা লেখা ছিল। আমার মন্তব্য ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।’ নিখিল-নুসরাতের বিচ্ছেদ মামলা আপাতত আদালতে বিচারাধীন। সেই সম্পর্কের জল কোনদিকে গড়ায় সেটাই এখন দেখার।

ঢাকাটাইমস/২২সেপ্টেম্বর/এএইচ