জয়ের আশায় মোস্তাফিজের ওভার রেখেছিলেন স্যামসন

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩:৪০ | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:২০

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

শেষ দুই ওভারে পাঞ্জাব কিংসের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৮ রান। কিন্তু সেটা করতেই ব্যর্থ হলেন মার্করাম-পুরানরা। তার জন্য পুরো কৃতিত্ব দিতে হবে রাজস্থানের দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও কার্তিক তিয়াগিকে। ১৯তম ওভারে ফিজের কারিশমায় খেলা গড়ায় শেষ ওভারে। সেখানে কার্তিক তিয়াগি মাত্র ১ রান খরচায় তুলে নেন পাঞ্জাব কিংসের দুই উইকেট। ক্রিজে মারকুটে সব ব্যাটসম্যান থাকলেও ২ রানের নাটকীয় জয়ে মাতে রাজস্থান রয়্যালস। এমন ম্যাচে জয়!-কেউ না ভাবলেও ঠিকই নিজেদের ওপর আস্থা রেখেছিলেন রয়্যাসলের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। আর তার আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন ফিজ-তিয়াগি।

পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে নিজের প্রথম ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে শুরু করেন মোস্তাফিজুর রহমান। আর শেষটাও করেন একই রান খরচে। তবে মাঝের দুই ওভারে রাজস্থানের পেসার খরচ করেন ২২ রান। তবুও শেষের দিকে জয়ের আশায় দুটি ওভার রেখে দেন দলটির অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন।

ম্যাচ জিততে মোস্তাফিজের শেষ দুই ওভার রেখে দিয়েছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক।

ম্যাচ শেষে উচ্ছসিত রাজস্থান অধিনায়ক বলেন, ‘ম্যাচ জিতলে সব সিদ্ধান্তই সঠিক মনে হয়। আমি সাধারণত বোলারদের ওপর আস্থা রেখে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যেতে চাই। মোস্তাফিজের দুই ওভার রেখে দিয়েছিলাম আসলে এটা ভেবেই, আমরা জিততে পারব ওখান থেকেও।’

শেষের নাটকের দৃশ্যপট অবশ্য উইকেটের পিছনে থেকে রচনা করেন সঞ্জু স্যামসন। ফিজ-তিয়াগিই ছিলো তার তুরুপের তাস। আর সেটা ম্যাচে ভালো ভাবেই খেটে গেলো। ফিন অ্যালেন-মার্করাম-পুরানের মতো মারকুটের সামনে ১২ বলে মাত্র ৮ রান ঠেকানোর চিন্তা অবশ্য কেউ করেননি। তবে সঞ্জুর বিশ্বাস ছিল তারা জিতবেন। এখনও অবিশ্বাস্য মনে হলেও সেটাই ঘটেছে ম্যাচে। 

সঞ্জু স্যামসন বলেন, ‘আমরা নিজেদের ওপর আস্থা রেখেছিলাম। অন্য কেউই ভাবেনি আমরা জিততে পারব। তবে আমাদের মধ্যে লড়াইয়ের কিছু বাকি ছিল। জানতাম, দুজন স্পেশাল বোলার শেষ দিকে বোলিং করবে আমাদের। মোস্তাফিজুর আর তিয়াগির ওভার রেখে দিয়েছিলাম তাই। ভেবেছিলাম, ক্রিকেটে তো যেকোনো কিছুই হতে পারে। চেষ্টা করে দেখিই না কী হয়!’

৪ ওভারে ৩০ রানে কোনো উইকেট পাননি মোস্তাফিজ। বোলিং স্যাটটা খুবই সাদামাটা মনে হলেও আসলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিলো ম্যাচে। অবশ্য দুটি উইকেট পেতে পারতেন মুস্তাফিজ। কিন্তু অধিনায়ক স্যাঞ্জু স্যামসন তালুবন্দী করতে পারেননি মার্করামের ক্যাচ। আর তার বলে লোকেশ রাহুলের ক্যাচ ছেড়েছেন চেতন সাকারিয়া। 

ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব কার্তিক তিয়াগিকে দিচ্ছেন পাঞ্জাব কোচ।

তবে হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচটি বের করতে না পারায় হতাশ পাঞ্জাব কোচ কুম্বলে। সেরা চারে থাকতে হলে তার দলটিকে এখন বাকি পাঁচ ম্যাচের সবকটি জিততে হবে। তবে তার চাওয়া ছিলো ১৯তম ওভারে ম্যাচটি জিততে। কিন্তু মোস্তাফিজের বোলিংয়ে সেটা করতে পারেননি অ্যালেনরা। 

কুম্বলে অবশ্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন তিয়াগিকেই। ‘দুর্ভাগ্যবশত আমরা শেষ পর্যন্ত গিয়েছি। যখন নতুন ব্যাটসম্যান শেষ দুই বলের সামনে থাকে তখন এটি লটারির মতো হয়ে যায়। তবে ত্যাগী যেভাবে শেষ ওভার বোলিং করেছিলেন, কৃতিত্ব তারই যায়।’ 

(ঢাকাটাইমস/২২সেপ্টেম্বর/এইচএন)