ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:২৪ | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানের আপত্তিকর ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার মামলায় আট বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আজ আদালতে মোয়াজ্জেমের হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুরাদ রেজা ও মোল্লা জীবন আহমেদ।

২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানের আপত্তিকর ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার মামলায় মোয়াজ্জেম হোসেনকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।

এতে বলা হয়, সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমকে এই টাকা ভুক্তভোগী নুসরাত জাহানের পরিবারকে দিতে হবে। ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

নুসরাতের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে ওই বছরের ১৫ এপ্রিল মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়। সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২০১৮ সালের ২৭ মে মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। আদালত তা আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দেন। এর ২০ দিনের মাথায় ১৬ জুন মোয়াজ্জেম হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।

২০১৮ সালের ৬ এপ্রিল নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেন তার  সহপাঠীরা। পরে ১০ এপ্রিল তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর ১০ দিন আগে নুসরাত মাদ্রাসা অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান। থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সে সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে ছড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ আনা হয় মামলায়। নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

ঢাকাটাইমস/২২সেপ্টেম্বর/এআইএম/ইএস