মুখ্যমন্ত্রী রাখতে আমাকে ভোট দিন: মমতা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসন থেকে হেরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে হারলেও অস্থায়ী ভিত্তিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে পেরেছেন তিনি। কিন্তু এই পদে টিকে থাকতে হলে তাকে ভোটে জিতে বিধায়ক হতে হবে। সেজন্যই তিনি ভবানীপুর আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে তিনি না জিতলে অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবেন। মুখ্যমন্ত্রী অপরিবর্তিত রাখতে তাঁকেই ভোট দেওয়ার আবদেন জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি নিজের কেন্দ্রে ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন। খবর আনন্দবাজারের।
সেখানে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘আমি না জিতলে অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আমাকে মুখ্যমন্ত্রী রাখতে ভোট দিন। আমার কাছে প্রতিটা ভোট দামি।’
বুধবার ভবানীপুরে চেনা মেজাজেই ছিলেন মমতা। ভবানীপুরের জনসভায় মমতা বলেন, ‘আগের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষক আন্দোলনের জায়গা নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছিল। তাই দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু ওখানে যে কীভাবে হারানো হয়েছে তা প্রকাশ্যে আসবে। আদালতে মামলা চলছে। জানা যাবে, আমার বিরুদ্ধে সেখানে কী করা হয়নি! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হলে ভবানীপুর থেকেই হবে। এটা ভাগ্যের খেলা। আপনাদের ছেড়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’
সেই সূত্রেই তিনি বলেন, ‘অনেকে ভাবছেন দিদি এমনিই জিতে যাবে। কিন্তু প্রতিটা ভোট দামি। একটা ভোট না দিলে আমার ক্ষতি হবে। ভোট না দিলে আমাকে পাবেন না।’
জনসভা থেকে বিজেপিকেও আক্রমণ শানান মমতা। তাঁর হুঙ্কার, ‘আমি মোদি-শাহকে দাদা-ভাই বলতে পারি। এটা সৌজন্য। কিন্তু তাই বলে দেশে তালেবানি শাসন মেনে নেব না। দেশে সকলে থাকবে। দেশকে টুকরো করতে দেব না। রাজ্যকেও টুকরো করতে দেব না। সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিভাজন আসতে দেব না।’
উত্তরপ্রদেশের করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে এ রাজ্যের তুলনা করে একের পর এক তোপ দাগেন মমতা। পাশাপাশি ত্রিপুরায় ১৪৪ ধারা জারি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। একই সঙ্গে তাঁর হুঙ্কার, ‘প্রয়োজনে ত্রিপুরা, আসাম, গোয়া এবং উত্তরপ্রদেশে খেলা হবে।’
মমতার বার্তা, ‘আপনাদের এক একটা ভোট আগামী দিনে দিল্লির পথে পা বাড়াতে সাহায্য করবে। আপনাদের ভোট দাঙ্গাবাজদের রুখে দিতে সাহায্য করবে। এখানে গাছ পুঁতলে দিল্লিতে গিয়ে গাছ বড় হবে। এখানে গাছের চারাটা পুঁতে দিন।’
পাশাপাশি বিজেপিকে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘তোমরা যদি মনে করো তোমরা বুনো ওল, তাহলে আমরা কিন্তু বাঘা তেঁতুল।’
(ঢাকাটাইমস/২২ সেপ্টেম্বর/এসইউএল)