দিল্লিতে শাড়ি পরায় রেস্তোরাঁয় ঢুকতে বাধা সাংবাদিককে

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২২:০৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
ছবি: সংগৃহীত

শাড়ি পরার কারণে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় ঢুকতে দেয়া হয়নি এক নারী সাংবাদিককে। রেস্তোরাঁর একজন কর্মী তাকে বলেন, স্মার্ট পোশাক না পরলে এই রেস্তোরাঁয় ঢোকা যায় না। খবর আনন্দবাজারের।

রেস্তোরাঁয় ঢুকতে বাধা দেয়ায় ওই নারী জিজ্ঞাসা করেন, রেস্তোরাঁটি ভারতের। আর শাড়ি ভারতের জাতীয় পোশাক। শাড়ি ‘স্মার্ট’ পোশাক। কেন আমাকে শুধু শুধু বাধা দেয়া হচ্ছে?

জবাবে রেস্তোরাঁর কর্মী বলেন, শাড়ি জাতীয় পোশাক হতে পারে, কিন্তু ‘স্মার্ট ক্যাজুয়াল’ নয়। আর স্মার্ট ক্যাজুয়াল পোশাক ছাড়া অন্য কোনো পোশাক ওই রেস্তোরাঁর পোশাকবিধির আওতায় পড়ে না।

দক্ষিণ দিল্লির এক শপিং মলের ভেতর ওই রেস্তোরাঁটি আদতে একটি রেস্ট্রো বার। শপিং মলটির নাম আনসল প্লাজা। শাড়ি পরার কারণে যে নারীকে তারা রেস্তোরাঁয় ঢুকতে দেয়নি তার নাম অনিতা চৌধুরী। রেস্তোরাঁর শর্ত শুনে বাকরুদ্ধ অনিতা গোটা ঘটনাটির ভিডিও তাঁর ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করেন। বুধবার তিনি সেই ভিডিও নেট মাধ্যমে প্রকাশও করেছেন।

অনিতা লিখেছেন, ‘আমি শাড়ি পরেছিলাম বলে আমাকে রেস্তোরাঁয় বসতে দেয়া হয়নি। শাড়ি আমার দেশের জাতীয় পোশাক। কিন্তু সেই পোশাক পরার জন্য যেভাবে আমাকে অপমান করা হয়েছে, তা হৃদয়বিদারক। এর আগে কখনও আমি এতটা অপমানিত বোধ করিনি।’

নিজের শাড়ি প্রেমের কথাও ওই ভিডিওর বিবরণে জানিয়েছেন অনিতা। তিনি লিখেছেন, ‘আমি একজন শাড়িপ্রেমী মানুষ। ভারতীয় পোশাক আমার পছন্দের। ভারতীয় সংস্কৃতিও আমি ভালোবাসি। আমি মনে করি, শাড়ি সবচেয়ে মার্জিত, কেতাদুরস্ত এবং সুন্দর একটি পোশাক।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ওই পোস্টে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এমনকি দিল্লি পুলিশেরও নাম জুড়ে দিয়ে অনিতা জানতে চেয়েছেন, আপনারা দয়া করে বলুন স্মার্ট পোশাকের সংজ্ঞা কী? সেক্ষেত্রে শাড়ি যদি স্মার্ট না হয় তাহলে আমিও শাড়ি পরা বন্ধ করে দেব।

(ঢাকাটাইমস/২২ সেপ্টেম্বর/এসইউএল)