বঙ্গবন্ধু সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল কোরিয়ার জন্যও গৌরব ও মর্যাদার

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কোরিয়ার মান্যবর রাষ্ট্রদূত মি. লী জাং-কিউন বলেছেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল শুধু বাংলাদেশ নয়, কোরিয়ার জন্যও অত্যন্ত গৌরব ও মর্যাদাপূর্ণ। তিনি বলেন, হাসপাতালটি বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বহন করবে।

 

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত মি. লি জাং-কিউন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নির্মাণাধীন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল পরিদর্শন করতে আসেন। এ উপলক্ষে সেখানে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, সবচাইতে বড় কথা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের মাধ্যমে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ সর্বাধুনিক উন্নত চিকিৎসাসেবা পাবেন।

 

ইতোমধ্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ নির্মাণাধীন ৭০০ শয্যা বিশিষ্ট দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্যক্রম বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ অর্থাৎ বিজয় দিবসের আগেই সম্পন্ন করার জোরালো নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে করে উভয় দেশের সরকার প্রধান বিজয় মাসে সুপার স্পেশালাইজড হাসাপাতালের শুভ উদ্বোধন করতে পারেন। ইতোমধ্যে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের যাবতীয় কার্যক্রম ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।

 

বিএসএমএমইউর উপাচার্য হাসপাতালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি চালু হলে রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা আরও কমে যাবে। এর মাধ্যমে দেশের চিকিৎসাসেবাখাত আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। দেশের চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি মেডিকেল শিক্ষা ও গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। 

 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের স্ট্রাকচারাল কার্যক্রম ১০০ শতাংশ, আর্কিটেকচারাল ও সিভিল ওয়ার্ক ৮৫ শতাংশ, মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল কার্যক্রম ৮০ শতাংশ, হসপিটাল ইনফরমেশন সিস্টেম (এইচআইএস) সহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহের ৬০ শতাংশসহ যাবতীয় কার্যক্রমের ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।

 

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহাদাত হোসেন, যুগ্ম-সচিব মো. আব্দুস সালাম খান, বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, প্রকল্প পরিচালক মো. জুলফিকার রহমান খান, প্রক্টর হাবিবুর রহমান দুলাল, কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের ঢাকা অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. জুন সিডাক, উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. নূর-ই- এলাহী উপস্থিত ছিলেন।

 

ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/এএ/ইএস