‘বিরোধীদল দমন ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি আ.লীগ’

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:২৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে মানুষের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নজিরবিহীন দুর্নীতি, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের দমন নিপীড়ন চালানো ছাড়া আর কিছু দিতে পারেনি। করোনাকালে স্বাস্থ্য খাতের যে অনিয়ম, দুর্নীতি ফুটে উঠেছে তা শুধু স্বাস্থ্য খাতের চিত্র নয়, প্রতিটি সেক্টরের চিত্র।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর আতুরারডিপু তুলা কোম্পানিস্থ জি এম আইয়ুব খানের বাসভবনের সামনে বায়েজিদ বোস্তামী থানা বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাহবুবের রহমান।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এখন ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে না, যে ভোট দিনে হওয়ার কথা সে ভোট রাতেই হয়ে যায়। ভোট ডাকাতি করে, মানুষের অধিকার হরণ করে আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে।’

‘মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আর এ জাতীয় ঐক্যের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বকে বুকে ধারণ করে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’ 

শামীম বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। এই সময়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। আইন ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে বেগম খালেদা জিয়ার নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সরকারের প্রতিহিংসা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে তারা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অপপ্রচার সৃষ্টি করছে। তার অবদান মুছে ফেলতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। জিয়াউর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।’

প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। তাদের হাতে দেশ ও স্বাধীনতা নিরাপদ নয়। তারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে মানুষের সাংবিধানিক সব অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। এর থেকে উত্তোরণের জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে সংগঠনকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী দিনের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য আহ্বান জানান আবুল হাশেম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেশি বিদেশি যড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত আছে। কিন্তু যড়যন্ত্র করে, কুৎসা রটিয়ে তারেক রহমানের ইমেজ ম্লান করা যাবে না। ১/১১-এর সরকার পারেনি। এ সরকারও পারেনি, পারবেও না।’

‘তারেক রহমান নির্যাতিত ও নিপীড়িত নেতা। তার নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। তিনিই জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতা। তার নেতৃত্বেই গণতন্ত্র ফিরে আসবে। তিনি বীরের বেশে দেশে ফিরবেন, দেশের মানুষের নেতৃত্ব দেবেন, বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সন্মানিত সদস্য এরশাদ উল্লাহ বলেন, ‘বিএনপির জন্ম হয়েছে এ দেশের মানুষের অধিকার, স্বাধীনতা স্বার্ভোমত্ব রক্ষা করার জন্য। জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত এই দল আজ জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে সবার উপরে। এই দলের নেতাকর্মীদের কাছে সাধারণ মানুষের অনেক চাওয়া পাওয়া আছে। তাই আসুন তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে এই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনি। দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই ভোট ডাকাত বাকশালী সরকারকে পরাজিত করে জনগণের বিজয় নিশ্চিত করি।’

বায়েজিদ থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিমের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিয়া ভোলা,  ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইস্কান্দার মির্জা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম।

বক্তব্য দেন নগর বিএনপি নেতা শামসুল আলম, জিএম আইয়ুব খান, ইয়াকুব চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, ইদ্রিস আলী, আবদুল হাই, সৈয়দ জাকারিয়া সেলিম, ওয়ার্ড় বিএনপির সভাপতি হাজী মো. ইলিয়াছ, মো. বেলাল, সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, মো. মামুন আলম,  বিএনপি নেতা হাজী মো. হোসেন, নুর মোহাম্মদ, শামসুল আলম মেম্বার, জাহাঙ্গীর আলম মাষ্টার, মোরশেদুল আলম, মগবুল হোসেন, মো. ইব্রাহিম, শেখ মো. আলাউদ্দিন, মোবারক হোসেন, আজগর হোসেন আজু, বখতেয়ার আলম, নুরুন্নবী মিলন, শাহাদাত হোসেন চানমিয়া, সাজ্জাদ হোসেন ভূইয়া, মো. ইব্রাহিম, মো. ফোরকান, আবছার উদ্দীন, সাবের আহম্মদ টারজান, মো. ইসমাইল প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/কেএম)