প্রাক-প্রাথমিকে ক্লাস এখনই নয়: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩:৪৭ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:৫৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেড় বছরের মতো বন্ধ থাকা প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ক্লাস এখনই নেওয়ার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। তিনি বলেন, আপাতত শিক্ষার্থীরা বাড়িতেই থাকুক। তিন সপ্তাহ পার হোক, তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব কী করা যায়।

শনিবার সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল জাদুঘর প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এমন কথা বলেন তিনি।

দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় ২০২০ সালের মার্চে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার। করোনার সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী হলে কয়েক দফা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও মহামারী আবার বেড়ে যাওয়ায় তা স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাসে ফিরেছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

গতকাল দুই শর্তে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার অনুমতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় তদারক সংস্থা ইউজিসি। কিন্তু এখনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রাক প্রাথমিকের বিদ্যালয়গুলো খোলার বিষয়ে করা এক প্রশ্নে শনিবার শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রাক-প্রাথমিকের বাচ্চাদের আমরা এ মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনতে চাচ্ছি না। তারা আপাতত বাড়িতেই থাকুক। আমরা আবার সিদ্ধান্ত নেব। তিন সপ্তাহ পার হোক, তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব কী করা যায়।’

কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান দীপু মনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘কোথাও যদি আমরা মনে করি, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বার আশঙ্কা আছে, প্রয়োজন হলে সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেবো। এখন পর্যন্ত কোথাও সেরকম কোনো পরিস্থিতি ঘটেনি। যদি কোথাও হয় আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মহামারি এখনও কিন্তু চলমান। যদিও শনাক্তের হার পাঁচের নিচে নেমে এসেছে, তারপরও কিন্তু মহামারি চলমান সারা দুনিয়ায়। কাজেই আমাদের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে হবে। কেউ না কেউ অসুস্থ হতেই পারে। বাড়িতে হতে পারে, যাতায়াতের পথে হতে পারে; এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও হতে পারে। সেটি যেন না ঘটে এবং কোথাও ঘটনা ঘটলে আমরা যেন ব্যবস্থা নিতে পারি এ বিষয়ে সচেতন এবং দৃষ্টি রাখছি। আমরা কোনো অভিযোগ বা খবর পেলে স্থানীয় প্রশাসন, সিভিল সার্জেন্টের অফিস ও স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেব।’

ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/এমআর