রাজনীতিবিদরা দেশ চালাচ্ছেন না: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:২৮

দেশ এখন রাজনীতিবিদরা চালাচ্ছেন না দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘একজন রাজনীতিবিদকে সিকিউরিটি হিসেবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তাকে দিয়ে গণতন্ত্রবিরোধী সব কাজ করিয়ে নিচ্ছে। তারা রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।’

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে একাংশ) বার্ষিক সাধারণ সভায় ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের সঙ্গে মুক্ত গণতন্ত্র ও মুক্ত গণমাধ্যম কখনো একসঙ্গে যায় না। আওয়ামী লীগ গুম, খুন ও নির্যাতনের মাধ্যমে অস্ত্রের মুখে টিকে থাকার কৌশল নিয়েছে।’

ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ মানেই হলো ভয়ভীতি, ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষের অধিকারগুলোকে কেড়ে নেয়া। গুম, খুন ও নির্যাতনের মাধ্যমে অস্ত্রের মুখে টিকে থাকা। আজকে আওয়ামী লীগ সেটাই বেছে নিয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটি মুক্ত সমাজ, দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম। আওয়ামী লীগ আমাদের সেই আশা-আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা এর আগেও বাকশাল গঠন করেছিল এবং এখনো গণতন্ত্রের মুখোশ পরে বিভিন্ন আঙ্গিকে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে আমাদের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০১২ সালে বিচারপতি খায়রুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিলেন। আওয়ামী লীগ সেটাকে লুফে নিয়ে বাস্তবায়ন করেছে। যার ফলে আজকে নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।’

ফখরুল আরও বলেন, ‘আজকে সংসদে জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জনকে নির্বাচিত করেছে। ২০১৮ সালে তারা আগের রাতেই ভোট ডাকাতি করেছে। এই আওয়ামী লীগই ’৭২-৭৫-এ চারটি সংবাদমাধ্যম ছাড়া সব সংবাদমাধ্যম নিষিদ্ধ করেছিল। সংবাদমাধ্যমকে পুরোপুরি দলীয়করণ করা হয়েছিলেন। আমি ধন্যবাদ জানাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে, যিনি স্বৈরাচার এরশাদের হাত থেকে একটি গণতন্ত্র ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। আমাদের বাক ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা একটি ভয়াবহ দুঃসময় অতিক্রম করছি। আজকে একটি সরকার জবরদখল করে বসে আছে। যারা আমাদের ৫০ বছরের সব অর্জনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই দুঃসময় শুধু সংবাদমাধ্যমের নয়, এই দুঃসময় শুধু বিএনপির নয়। এই দুঃসময় পুরো জাতির।’

নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে একটি আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আবার শোনা যাচ্ছে নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। কেউ বলছে এটার জন্য একটি আইন করা দরকার। কিন্তু আইনটা করবে কে? সংসদে তো আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কিছু নেই। যারা এদেশে গণতন্ত্রকে হরণ করে এদেশের মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে তারাই আজকে এই আইনটি করবে।’

ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজের সাবেক সভাপতি বাকের হোসেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/বিইউ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :