ওসির হস্তক্ষেপে জোড়া লাগল ভাঙা সংসার

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:০৩

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, শেরপুর

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে একটি ভেঙ্গে যাওয়া সংসার আবার জোড়া লাগল। ঝিনাইগাতী থানার ওসির চেষ্টায় দ্বিতীয়বার বিয়ের মধ্যে দিয়ে নতুন ভাবে সংবাস শুরু করলেন শফিকুল-সালেহা দম্পতি। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গান্ধিগাঁও গ্রামে।

স্থানীয়রা জানান, আনুমানিক ৬ বছর আগে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ফুলহারী গ্রামের সৌকাত আলীর মেয়ে সালেহার সাথে কাংশা ইউনিয়নের গান্ধিগাঁও গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে শফিকুলের পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে একে একে আসে দুই কন্যা সন্তান। একটির বয়স বয়স সাড়ে চার বছর অন্যটির দেড় বছর। এতদিন সংসারে মোটামুটি সুখ থাকলেও আনুমানিক দুই মাস আগে সামান্য কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শফিকুল সালেহাকে মারধর করেন। সালেহা রাগ করে বাবার বাড়ীতে চলে এসে শফিকুলের বিরুদ্ধে ঝিনাইগাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরে রাগে শফিকুল সালেহাকে তালাক দেন।

তবে ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান পুরো ঘটনাটি জানতে পেরে এবং সালেহার ২টি সন্তানের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে ঘটনার তদন্তের ভার দেন এসআই মো. আব্দুর রাজ্জাককে। এসআই রাজ্জাক উভয় পরিবারের সঙ্গে পৃথক পৃথক ভাবে কথা বলে ভুল সংশোধনের পরামর্শ দেন এবং তাদেরকে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওসি ঝিনাইগাতীর অফিসে হাজির করেন। এসময়  উপজেলা আওয়ামী লীগের  সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ একেএম বেলায়েত হোসেন, নলকুড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মজনু মিয়া, যুবলীগ নেতা রকিবুল ইসলাম রোকনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত হন। পরে ওসি মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান নিজ উদ্যোগে এসআই আব্দুর রাজ্জাকের সহায়তায় ২ পরিবারের লোকজন ও বিচ্ছেদকৃত স্বামী-স্ত্রীকে আন্তরিক ভাবে বুঝানোর সংসারটি পুনরায় সচল করতে সম্মতি প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার দিবাগত রাতে পুনরায় ওই দম্পতিকে নতুন করে রেজিষ্ট্রী কাবিনের মাধ্যমে বিয়ে দেওয়া হয়।

সালেহা জানান, ওসি স্যারের হস্তক্ষেপের কারণেই আজ আমি আবার ফিরে পেলাম আমার সংসার স্বামীকে। বাচ্চা ফিরে পেল বাবাকে। আমি ওসি স্যার ও সহ সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সংসারটি একত্র করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।

ওসি মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, আমি শুধু একজন পুলিশ অফিসারই নই, একজন বাবাও। আমি সালেহার দুটি মেয়ে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই এমন উদ্যোগ নিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া একটি সংসারচি জোড়া লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছি।  

(ঢাকাটাইমস/২৫ সেপ্টেম্বর/পিএল)